শিরোনাম:
●   আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল ●   রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ ●   বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন ●   তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো ●   ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন ●   ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ●   থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে ●   কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   কাল ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণ মিছিলে ●   কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা ●   শীর্ষ চরমপন্থি লিপ্টনের জামিন বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ ●   নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ●   ৮ দফা দাবিতে ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল ●   মিরসরাইয়ে ৭৫ লক্ষ টাকার চরঘেরা জাল ধ্বংস ●   ওসি ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অপরাধ দমনে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি ●   ঢাকায় সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কালীপূজা ●   রাঙামাটির দুর্গম প্রংজাং পাড়ায় স্কুলে চেয়ার ও টেবিল প্রদান করেছে ৯ বিজিবি
ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
মঙ্গলবার ● ২ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তার কথা রাখেনি
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তার কথা রাখেনি
২০৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তার কথা রাখেনি

--- আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত সংবাদ সম্মেলনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ইসরায়েল - ফিলিস্তিন সীমান্তের পর ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত এখন বিশ্বের ভয়ংকর এক সীমান্ত।সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ গুরুতর নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে।ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী - বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা তারা রাখেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। বিএসএফ তথা ভারত বাস্তবে বাংলাদেশের সাথে ধারাবাহিকভাবে প্রতারণা করে আসছে।ভারতের এসব তৎপরতা কোন সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, বিএসএফ প্রধান ঢাকা থেকে ভারত ফিরে যাওয়ার পরপরই মাত্র এক সপ্তাহেই নওগাঁ ও লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে তিন বাংলাদেশী যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।আর গত সাত বছরে বিএসএফ এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক, আহত হয়েছেন অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংদেশীদের প্রাণনাশ করে।

তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার কিলোমিটার সীমান্তের চার হাজার কিলোমিটারের বেশী ভারত কর্তৃক কাঁটাতারের বেড়া দেয়া। বিশ্বের আর কোন সীমান্তে এত দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া নেই।ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন সীমান্ত আর মেক্সিকো - আমেরিকা সীমান্তেও এত বড় তারকাঁটার সীমান্ত নেই।প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক কোন দূর্যোগে দুপাশের মানুষ যে পরস্পরের কাছে আশ্রয় নেবে- ভারত তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের উপেক্ষা ও অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যায়নি। বাণিজ্যিক ভারসাম্য এখনও বাংলাদেশের প্রতিকুলে। বস্তুতঃ বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট সুবিধাসহ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাদির সমাধান করে দিলেও কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানির লাশের মত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহ তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের সরকারসমূহের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব,বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশ - ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষের রক্তে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।আমরা এসব তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের আহবান জানাই।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে সরকার সীমান্তে নিরিহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সীমান্তবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকরি কোন উদ্যোগ নেই।গত পনের বছর শাসক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে অবৈধ ও অনৈতিক ক্ষমতার পিছনে ভারতের চরম হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের এককাট্টা মদদ ও সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে তারা ভারতের অনুগত রাষ্ট্রে পরিনত করেছে।সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন পরোক্ষভাবে তার স্বীকারোক্তি দিয়ে চলেছেন।তারা প্রকাশ্যেই বলছেন যে, ভারতের সমর্থনের কারণেই তারা ক্ষমতায় আছেন। সরকারের নীতি নির্ধারকদের এই ধরনের বক্তব্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরী করেছে। এই ধরনের বক্তব্য রীতিমতো দেশবিরোধী তৎপরতার সামিল।
তিনি বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান ও ক্রমান্বয়ে তার বিস্তৃতি দেশের মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, আমরা সমতা, ন্যায্যতা, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমাদের মধ্যকার যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যাদির সমাধান করতে চাই।কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে নানা দিক থেকে চাপে রাখতে যেয়ে পরিস্থিতিকে ক্রমান্বয়ে জটিল ও অস্থিতিশীল করে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, সরকারের দাশানুগ নীতি কৌশলের কারণে এই সরকারের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে ভোটের অধিকার হরণসহ দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেকারণে এই সরকারকে বিদায় দেয়া ছাড়া দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যেমন নিশ্চিত করা যাবেনা, তেমনি জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাও সংরক্ষণ করা যাবেনা।
তিনি দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান।

সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জোনায়েদ হোসেন,শাহাদাৎ হোসেন শান্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।





ছবি গ্যালারী এর আরও খবর

আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির  বরণোৎসব সম্পন্ন ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে

আর্কাইভ