
বৃহস্পতিবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » ফটিকছড়িতে পৃথক তিন ঘটনায় আহত- ২০
ফটিকছড়িতে পৃথক তিন ঘটনায় আহত- ২০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঈদের ছুটিতে পৃথক তিনটি ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ফকিরা বন এলাকার ভোলা গাজীর বাড়িতে বড় ভাইয়ের হাতে রক্তাক্ত হয়েছেন মা জুলেখা খাতুন (৫৫) ও মো. মাসুম (৩৫)।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে আপন ছোট ভাই মো. মাসুম ও মা জুলেখাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বড় ভাই ইয়াসিন।
এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
স্থানীয় বাসিন্দা কাউসার সিকদার জানান,মাসুমের অবস্থা সংকটাপন্ন। ইতোমধ্যে মাসুমকে ৬ ব্যাগ এবং তার মাকে ২ ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। আরো ৫ ব্যাগ ব্লাড লাগবে। এর বাহিরেও ডোনার রেডি রাখতে বলেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত ইয়াসিন পালিয়ে যান।
ভূজপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গত ১ এপ্রিল রাতে উপজেলার দাঁতমারা মঈনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার মাঠে মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীতে দাওয়াত না পেয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২ এপ্রিল বাগানবাজারে হত্যার কান্ডের বিচারের দাবীতে মানববন্ধনে হামলা চালিয়েছে একটি পক্ষ এতে উভয় পক্ষের ১০/১৫ জন আহত হয়।
গত ৩ মাস আগে বাগান বাজারের মাষ্টার পাড়া এলাকায় বালিমহাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে কৃষক দুলায়েত হোসেন দুলাল নিহত হন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করে নিহত দুলালের পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনকারীরা গার্ডের দোকান এলাকায় আসলে পুর্ব থেকে সেখানে অবস্থান নেয়া বিরোধীয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মানববন্ধনকারীদের উপর চড়াও হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় মানববন্ধন শুরু হয়।
বি এন পির দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।