শিরোনাম:
●   আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল ●   রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ ●   বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন ●   তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো ●   ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন ●   ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ●   থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে ●   কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   কাল ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণ মিছিলে ●   কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা ●   শীর্ষ চরমপন্থি লিপ্টনের জামিন বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ ●   নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ●   ৮ দফা দাবিতে ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল ●   মিরসরাইয়ে ৭৫ লক্ষ টাকার চরঘেরা জাল ধ্বংস ●   ওসি ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অপরাধ দমনে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি ●   ঢাকায় সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কালীপূজা ●   রাঙামাটির দুর্গম প্রংজাং পাড়ায় স্কুলে চেয়ার ও টেবিল প্রদান করেছে ৯ বিজিবি
ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
মঙ্গলবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস
২২৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস

--- অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন সুজন :: আজ ৯ সেপ্টেম্বর’২৫ ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের এই দিনে লঙ্গদু এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী পাকুয়াখালী নামক স্থানে তৎকালীন শান্তি বাহিনী অত্র অঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ী ও কাঠুরিয়াদের আমন্ত্রণ করেছিল একটি ভোজ সভাই যোগদানের জন্য।
সকল লোকজন যথারীতি সকাল ১০.০০ ঘটিকার মধ্যেই পৌঁছেছিল কিন্তু কি হয়েছিল আমরা জানিনা। দুপুরের পর থেকেই একটা আওয়াজ আমরা পাচ্ছিলাম, তারপরে আমাদের কাছে একমাত্র বেঁচে যাওয়া ইউনূসের মাধ্যমে সংবাদ আসে যে, আমন্ত্রিত সকল কাঠ ব্যবসায়ী ও কাঠুরিয়াদের বর্বরোচিত ভাবে সন্তুলারমার নির্দেশে শান্তি বাহানীরা হত্যা করে।
তারপরেই সেনাবাহিনী বিডিআর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ঐ পাকুয়াখালি ট্রাজেডি ক্ষতবিক্ষত ভিকটিমদের লাশ উদ্ধার করে।
তৎকালীন সময় লঙ্গদু বাঘাইছড়ি তথা রাঙ্গামাটির আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে সর্বত্র শোকেরছায়া নেমে আসে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি জনগোষ্ঠী বিহবল হয়ে পড়ে। ক্ষুভে ভয়ে সকল জনগোষ্ঠী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের ৪ মন্ত্রী লঙ্গদুতে ছুটে আসে। লঙ্গদু-বাঘাইছড়ির লাখো জনতাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করবে, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিবে। জনরোষ চাপা দিয়ে মন্ত্রীরা ঢাকায় ফিরে যায় এবং পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবসের পুরস্কার স্বরূপ ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্যবাসির উপর অসম, অন্যায় ও অযৌক্তিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি চাপিয়ে দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী আবার বিহবল হয়ে পড়ে।
অত্রাঞ্চলের মানুষ বেচে থাকার শেষ আশাটুকু হারিয়ে ফেলে। তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে ১৯৯৮ সালে বেগম খালেদা জিয়া খাগড়াছড়িতে লংমার্চ করে, অধ্যাপক গোলাম আযম রাঙ্গামাটিতে লংমার্চ করে, ফজলুল হক আমিনী বান্দরবনে লংমার্চ করে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি জনগোষ্ঠিকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, চার দলীয় জোট যদি ক্ষমতায় যায় তবে বিতর্কিত অসম পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’৯৭ কালো চুক্তি আখ্যায়িত করে তা বাতিল করা হবে।
২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালে পার্বত্য বাসীকে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে যায় একের পর এক বিতর্কিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’৯৭ বাস্তবায়ন করতে থাকে।
শুধু তাই নয় ভূষণছড়া গণহত্যার নায়ক মনির স্বপন দেওয়ান ওরফে মেজর রাজেশ কে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত বঞ্চিত শোষিত মানুষ আবারও রাজনৈতিক প্রতারণার শিকার হয়।
আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস, এই দিবস থেকে আগামী সরকারকে বলতে চাই পার্বত্য চট্টগ্রাম অসম চুক্তি বাতিল করে পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল আইনি বৈষম্য দূর করে সকল নাগরিকের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন সুজন,
নির্বাহী পরিচালক DPC
(পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির জন্য আলোচনা)
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।





আর্কাইভ