
রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ফটিকছড়ির ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান না থাকায় সেবা কার্যক্রম ব্যাহত
ফটিকছড়ির ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান না থাকায় সেবা কার্যক্রম ব্যাহত
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অনুপস্থিতির কারণে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানে প্রশাসক বসানো হয়। আবার অনেক ইউপি সদস্য নিয়মিত কার্যালয়ে আসছেন না। ফলে এসব ইউনিয়নের নানাবিধ নাগরিক সেবা কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্কিত সব সেবা থেকে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। ফলে ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয়তার সনদ, প্রত্যয়ন ও জন্ম-মৃত্যু সনদের কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও সেবা নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসব ইউনিয়নে চেয়াম্যানসহ নারী-পুরুষ ৭৮ সদস্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেকেই স্ব-স্ব ইউপি কার্যালয়ে আসছেন না। ফলে এর প্রভাব পড়েছে জনসাধারণের ওপর। কারণ ঠিকমতো নানা ধরনের কাজের মনিটরিং হচ্ছে না।
অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে বাগান বাজার ইউনিয়নের মো. শাহাদাত হোসেন সাজু, দাঁতমারা ইউনিয়নের মো. জানে আলম, নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবু জাফর মাহমুদ, কাঞ্চনগর ইউনিয়নের মো. দিদারুল আলম, সুন্দপুর ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী এবং সুয়াবিল ইউনিয়নের মো. জয়নাল আবেদিন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের অনুপস্থিতিতে পূর্ব-প্রস্তুতির সকল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ ১৭ ধরনের সনদ ইস্যু হচ্ছে ধীর গতিতে। তারা অনুপস্থিত থাকলেও নাগরিক সেবা ঠিক রাখতে এসব কার্যক্রম তরান্বিত ও সঠিকভাবে পরিচালনা জরুরি। প্রশাসন দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকজন অনুপস্থিত থাকলেও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সব সেবা চলমান আছে। তবে কিছু কিছু কাজ করতে গিয়ে কিঞ্চিত সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। আশা করছি সরকার শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কাজেও গতি ফিরবে।’
উপজেলার শিক্ষাবিদ মো. শামীমুল হাসান বলেন, ‘সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে তাদের অনেক চ্যালেঞ্জ। তাদের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ খুব কম। এ কারণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কম সময়ে কতটুকু সফল হবে সেটি দেখার বিষয়।’
তবে, অনুপস্থিত দেখানো চেয়ারম্যানদের অনেকেই বিষয়টিকে সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে অবিহিত করেছেন। তাদের দাবী তারা এলাকায় থাকা সত্ত্বেও তাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরিয়ে দিয়েছেন। তারা দায়িত্ব পালনে আগ্রহী।
নারায়ণহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘অমি আ.লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্রে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সরকার পতনের পরও পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অনুপস্থিত দেখিয়ে সেখানে প্রশাসক বসানো হয়। বিষয়টি আমি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কে অবহিত করেছি।’
বাগান বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন সাজু বলেন, ‘আমি জনগনের চেয়ারম্যান। স্বতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। কিন্তু মাঠ প্রশাসন মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আমার দায়িত্ব খর্ব করেন। জনগনের অর্পিত দায়িত্ব আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী করছি এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েও জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক কার্যালয়ের ফাইলপত্র নিয়মিত আমাকে দেখতে হয়। গড়ে প্রতিদিন দুই-তিন হাজার ফাইলে স্বাক্ষর করতে হয়। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবিষ্যতে চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমি মাঠপর্যায়ে এসব সমস্যার বিষয়টি উর্ধ্বতনদের জানিয়েছি।’
ফটিকছড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফটিকছড়ি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিলকিস আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ এপ্রিল উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কোরবান আলি হাজ্বী বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ উক্ত এলাকার প্রবাসী মো: আব্বাসের স্ত্রী।
জানা যায়,প্রায় ১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তিন মাস পূর্বে মারা যান ওই গৃহবধূর মা। তারপর থেকেই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুল হক বলেন,খবর পেয়ে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।