
সোমবার ● ৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাবিপ্রবি’তে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে “No Work, No School” কর্মসূচির সাথে সংহতি সমাবেশ
রাবিপ্রবি’তে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে “No Work, No School” কর্মসূচির সাথে সংহতি সমাবেশ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী “No Work, No School” কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল সোয়া ১১টায় একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিবাদ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আওতায় সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হয়।
রাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান এ প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি আগ্রাসী তৎপরতা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে বিশ্ববাসী দেখেছে; ক্রমান্বয়ে তা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে। সম্প্রতি সমগ্র ফিলিস্তিনে যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে ও হচ্ছে তা অবর্ণনীয়। সেখানে মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ, দুর্দশা সহ্য করছে এবং কষ্ট করছে খাদ্য ও পানির জন্য। ইসরায়েলের জিঘাংসার পথ পরিক্রমা এখনো চলমান রয়েছে। ফিলিস্তিনে মানুষ হিসেবে যে অধিকার আছে, তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনে নারীদের যে হাহাকার, শিশুদের যে হাহাকার, তা হৃদয়বিদারক। এরকম বাস্তবতায় আমরা মানুষের জন্য কথা বলতে চাই। আমাদের প্রথম ও প্রধান পরিচয় আমরা এই সমাজের মানুষ।
তিনি বলেন, বিশ্ব মোড়ল ও বিশ্বে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের বলতে চাই- বন্ধ হোক ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ হোক শিশুদের উপর নির্যাতন, নারীদের উপর নির্যাতন এবং জনসাধারণের উপর গণহত্যা; ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরে আসুক। একের পর এক চুক্তির নামে যেসমস্ত বাহানা চলছে, তা সত্যিকার অর্থে অর্থবহ হোক, সেগুলো আবার ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর হোক।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ ওআইসি ও জাতিসঙ্ঘ যাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা তারাও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে না। মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সুতরাং আমরা সামগ্রিকভাবে যারা এখনো পর্যন্ত মানবতাকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের কাছে আমাদের আহবান থাকবে অতিসত্বর ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ হোক এবং সকল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখুক।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জানান।