শিরোনাম:
●   এপ্রিল জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়,বরং নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ●   ফটিকছড়িতে পশুরহাটে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সেবা : পশুর স্বাস্থ্যসেবার বালাই নেই ●   বাজেট স্বপ্নহীন যাত্রার নৈরাশ্যজনক বয়ান ●   ফটিকছড়িতে কোরবানীর পশুরহাটে ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা ●   ঈদের ছুটিতে বাড়ী ফেরা হলোনা নবীগঞ্জের তারেক ও বিলালের ●   বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ●   ফটিকছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ●   হালদা পাড়ে উৎসব : ডিম ছেড়েছে মা মাছ ●   রাঙামাটিতে ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রদলের মানবিক উদ্যোগ ●   রাঙ্গুনিয়াতে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ ●   খাগড়াছড়িতে স্রোতে ভেসে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর দু’জনের মরদেহ উদ্ধার ●   চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে ওয়াই সি এল বাস সার্ভিস উদ্বোধন ●   রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে এনএসসি ●   কাপ্তাইয়ে কারেন্ট জাল ও ২টি নৌকা জব্দ ●   ট্রাক আটকে চাঁদাবাজির সময় এনসিপির নেতা গ্রেপ্তার ●   সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের ৩১ বছর পূর্তির আয়োজন ●   প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল ●   দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা : পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা ●   প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এপোলো জামালীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ●   কাপ্তাইয়ে নিবন্ধিত মৎস্যজীবিদের মাঝে ছাগল বিতরণ
ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
বুধবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝালকাঠিতে লিমন হত্যা চেস্টা মামলা র‌্যাবের বিরুদ্ধে সিআইডিকে পুনঃতদন্তের আদেশ
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝালকাঠিতে লিমন হত্যা চেস্টা মামলা র‌্যাবের বিরুদ্ধে সিআইডিকে পুনঃতদন্তের আদেশ
২৭৩ বার পঠিত
বুধবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝালকাঠিতে লিমন হত্যা চেস্টা মামলা র‌্যাবের বিরুদ্ধে সিআইডিকে পুনঃতদন্তের আদেশ

--- ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে ছয় র‌্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্র লিমন হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়রা বেগমের নারাজি গ্রহণ করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান নারাজি আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লিমনের মায়ের পক্ষে আদালতে শুনানী করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র নিয়োজিত লিমনের মায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে লিমনের বাম পা হাটু থেকে কেটে ফেলেন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমান, কর্পোরাল মাজহারুল ইসলাম, কং মোঃ আব্দুল আজিজ, নায়েক মুক্তাদির হোসেন, সৈনিক প্রহল্লাদ চন্দ ও সৈনিক কার্তিক কুমার বিশ্বাসসহ আরও অজ্ঞাতনামা ছয় র‌্যাব সদস্যর নামে ঝালকাঠির আদালতে একটি হত্যা চেস্টা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে রর‌্যাবসদস্যদের অব্যহতির সুপারিশ করেন। লিমনের মা হোনোয়রা বেগম ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন। নারাজী খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রিভিশন দায়ের করেন হেনোয়রা বেগম (রিভিশন নং ৩৫/১৩)। ২০১৮ সালের ০১ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস.কে এম তোফায়েল হাসান রিভিশন মঞ্জুর করেন। রিভিশন মঞ্জুর হওয়ার পর নিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম রেজা মামলাটি তদন্তের জন্য ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল পিবিআইকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আবারও থানা পুলিশের মত চূড়ান্ত প্রতিবেদন (সত্য) দাখিল করেন। প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করেন, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সত্য, তবে কারা তাকে গুলি করেছে তার কোন সাক্ষি প্রমান পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে সাক্ষী প্রমান পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নারাজি দাখিল করেন। লিমনের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কোন সন্ত্রাসী ছিল না। একটি ভালো ছেলেকে র‌্যাব গুলি করে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য র‌্যাবের কথিত বন্দুক যুদ্ধে এক পা হারানো লিমন হোসেন ২০১৩ সালে এইচএসসি, ২০১৮ সালে আইন বিষয়ে অনার্স, ২০১৯ সালে এল.এল.এম পাস করেন। ২০২০ সালে লিমন হোসেন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিভাগে সহকারী প্রভাষক হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০২২ সালে লিমন যশোরের অভয়নগর থানার এক কলেজ ছাত্রীকে বিবাহ করে। লিমন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, র‌্যাব অন্যায়ভাবে আমাকে গুলি করে পঙ্গু করেছে । আমি অনেক কস্ট করে মানুষের ভালোবাসায় পড়ালেখা শেষ করেছি ঠিকই কিন্তু আমার পা হারানোর কস্ট ভুলতে পারছি না। যতদিন বেচেঁ আছি ততদিন যারা আমাকে পঙ্গু করেছে তাদের বিচার দাবি করবো। ২০১১ সালে ঘটনার পর লিমনকে সন্ত্রাসী দাবি করে র‌্যাব লিমনসহ আট জনের বিরুদ্ধে অস্ত্রআইনে এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল সেই দুটি মামলাতেই লিমনসহ সকল আসামীরা আদালত থেকে ২০১৮ সালে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছিল। ঘটনার শুরু থেকে লিমনকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং ঝালকাঠির কয়েকজন আইনজীবী। আইন ও সালিশ কেন্দ্র নিয়োজিত লিমনের মায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার বলেন, ঘটনার পর রাজাপুর থানা পুলিশ লিমন হত্যা চেস্টা মামলা তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট (তথ্যগত ভুল) দাখিল করে র‌্যাব সদস্যদের অব্যহতির সুপারিশ করে এবং লিমনসহ পুরো পরিবারকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে। অপরদিকে পিবিআই প্রায় চার বছর তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট (সত্য) দাখিল করে। পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা রিপোর্টে লিমনকে একজন শান্তশিষ্ট ছাত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, র‌্যাব এবং সন্ত্রসীদের গোলাগুলির মধ্যে লিমন গুলিবিদ্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু কে তাকে গুলি করেছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, আসলে পিবিআই তদন্ত করে আসল ঘটনা জানতে পেরেছে ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের তদ্বিরে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে আমার কাছে রিপোর্টটি সত্যের কাছাকাছি মনে হয়েছে। কোন সংস্থার কাছ থেকে আমরা ন্যায় বিচার না পেলেও মহামান্য হাইকোর্ট থেকে একদিন ন্যায় বিচার ঠিকই পাবো।





আর্কাইভ