শিরোনাম:
●   মিরসরাইয়ে বসতঘর থেকে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে ইউপি সদস্য জাহেদের অপতৎপরতা ●   পানছড়িতে অসহায় পরিবারকে গৃহ পূর্ণনির্মান ●   ফটিকছড়ির ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান না থাকায় সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ●   ঈশ্বরগঞ্জে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার ●   রোটারেক্ট ক্লাব অব চিটাগং এলায়েন্স’র নতুন কমিটি গঠন ●   ‘আলোর পথে’র মহিলা মাহফিল সম্পন্ন ●   ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিনিধি দলের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠক ●   দীর্ঘসুত্রিতা পরিহার করে বিচার,সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের কার্যকরি পদক্ষেপ নিন ●   রাঙামাটির রাজনগর ৩৭ বিজিবি’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ জব্দ ●   রাবিপ্রবি’তে কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ●   নবীগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা নানু গ্রেফতার ●   রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রোডে অবৈধ সভাপতি সৈয়দ কোম্পানীর লক্কর-জক্কর বাস চলাচল করছে ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ●   চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল ও সম্পাদক প্রিয়তোষ ●   ঈশ্বরগঞ্জে নকলে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষকের উপর হামলার চেষ্টা ●   রাবিপ্রবি’তে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা ●   রাঙামাটিতে প্রবীন ব্যাক্তি ইন্দ্রজিৎ ত্রিপুরার পাশে জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব আজম
ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
বুধবার ● ৩০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
১০১০ বার পঠিত
বুধবার ● ৩০ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

ছবি : সংগৃহীতপ্রদীপ মার্ডী :: স্পর্ধার ১৬৬ বছর। আজ ঔপনিবেশিক বিট্রিশ শাসকদের উৎখাতে ঐতিহাসিক “সান্তাল হুল বা বিদ্রোহ” এর ১৬৬ তম বার্ষিকীতে, বিদ্রোহের জন নায়ক সিধু মুরমু, কানু মুরমু, ফুলমনি সহ লড়াইয়ে শহীদ সকল সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৮৫৫ সালের সান্তাল বিদ্রোহ উপমহাদেশীয়দের স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠার প্রথমতম বিদ্রোহ না হলেও একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের অংশ বটে। এর পূর্বে ১৭৮১-৮৪ সালে শহীদ তিলকা মাঝির নেতৃত্বে ছোটনাগপুর, ভাগলপুর, দামিন-কো অঞ্চলের সান্তালসহ অনান্য আদিবাসী জনগণ বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো যা ‘খেরওয়ার বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে সিধু-কানু খেরওয়ার বিদ্রোহের পুরোধা মহান তিলকা মাঝির অসমাপ্ত সংগ্রামকে এগিয়ে নিতেই সর্বগ্রাসী বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলো যা একপ্রকার ঐতিহাসিক দায়বোধের প্রকাশও বটে। সান্তাল বিদ্রোহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি কর্মসূচি হিসেবে মুন্ডা বা অনান্য বিদ্রোহের মতো কোন ধর্মীয় সংস্কার কর্মসূচিকে সামনে রাখে নি বরং বিদ্রোহের আকাঙখা খেরওয়ার বিদ্রোহের মতোই অতিশয় বৈষয়িক ও বস্তুগত বিষয় ছিলো।
এই বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানু জনগণের সামনে নিজেদের কোন দেবতার প্রতিভূ হিসেবে ঘোষণা করেন নি আবার কোন স্বপ্নে আদিষ্ট বাণীও আওড়ান নি। বর্তমান সময়ে অনেক ঐতিহাসিক ১৮৫৫ সালের ‘সান্তাল হুল’কে ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে বিট্রিশ শাসন বিরোধীতার দিকটা খাটো করে দেখাতে চান। আসলে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের লিখিত পান্ডুলিপি থেকেই এটা পরিষ্কার হয় সান্তাল হুল কোন ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন ছিলো না। বিদ্রোহের দাবি ছিলো জলের মতো পরিষ্কার ‘আমাদের ভূমি, আমাদের কর্তৃত্ব’।
মূলত ছোট নাগপুর, ভাগলপুর, বীরভূম, ভগনাদিহি, দামিন-কো ইত্যাদি অঞ্চলের ভূমি ও বনাঞ্চলের উপর আদিবাসীদের চিরাচরিত সার্বভৌম অধিকার খর্ব করে বিট্রিশদের অর্পিত খাজনা ও তা আদায়ে বহিরাগত মহাজন-জমিদারদের আদিবাসী জনগণের উপর বর্বরোচিত অত্যাচারই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে। এখানে বলে রাখা ভালো বিট্রিশ আগমনের পূর্বে মুঘল শাসকদের ছোট নাগপুরসহ উল্লিখিত আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে তেমন কোন দৃঢ় কর্তৃত্ব ছিলো না। তাই এ অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরেই একপ্রকার স্বাধীন জীবনাচারণের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছিলো। সেখানে হঠাৎ উদ্ভুত বিট্রিশ কর্তৃত্ব এবং অ-আদিবাসী জমিদার-মহাজনের দৌরাত্ম মূলত আদিবাসীদের ক্ষোভকে চরমে তোলে।
১৮৫৫ সালের সান্তাল বিদ্রোহের সবচেয়ে জরুরি দিক হলো এর রাজনৈতিক চরিত্র যেখানে সিধু-কানু’র নেতৃত্বে আদিবাসী জনগণ বিট্রিশ শাসক এবং তাদের অনুচর স্থানীয় জমিদার ও মহাজনদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্রত হয়েছিলেন। সান্তাল বিদ্রোহের এই ক্ষুরধার উদ্দেশ্যই পরবর্তীতে কোন বিদ্রোহী নেতাকে বাঁচিয়ে না রাখার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। কারণ বিট্রিশরা ভয় পেয়েছিলো, তিলকা মাঝি’র পরেও সিধু-কানু যেভাবে মাতৃভূমিকে বর্হিশত্রু মুক্ত করতে যে ঐতিহাসিক দায়বোধের পরিচয় দিয়েছে তা সংক্রামক হয়ে উঠলে তাদের রাজত্ব খুব বেশিদিন টিকবে না।
জানি উপসংহার টানার জন্য এই আলোচনা যথেষ্ট নয় তবে এটা পরিষ্কার যে, সান্তাল বিদ্রোহ নিছক একটি বুনো ক্ষোভ নয় বরং উপমহাদেশের প্রথমতম স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি। জাতিগত বৈচিত্রতার এই পূণ্য ভূমিতে সকল জাতির সংগ্রাম যোগ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি পাক এবং উপমহাদেশীয়রা নিজেদের সূর্য সন্তানদের চিনতে শিখুক এই কামনায় করি।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব
চব্বিশ ও পঁচিশের ইফতার রাজনীতি চব্বিশ ও পঁচিশের ইফতার রাজনীতি
২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নের নৈপথ্যের নায়ক নির্মল বড়ুয়া মিলন পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নের নৈপথ্যের নায়ক নির্মল বড়ুয়া মিলন
১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার ১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
মহান মে দিবস ও  শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক
বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী

আর্কাইভ