রবিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » কাপ্তাই হ্রদের মাছ স্থানীয়দের নাগালের বাইরে ডিসি রাঙামাটি : এত মাছ কোথায় যায়
কাপ্তাই হ্রদের মাছ স্থানীয়দের নাগালের বাইরে ডিসি রাঙামাটি : এত মাছ কোথায় যায়
মো. কামরুল ইসলাম :: আমার জেলার মানুষ কাপ্তাই হ্রদের মাছ পাচ্ছে না, আমি নিজেও এই হ্রদের মাছ খেতে পারছি না রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) রবিবার সকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদ। প্রায় ৭২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই হ্রদে প্রতিবছর কয়েক হাজার টন মাছ আহরণ হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হ্রদের তীরবর্তী রাঙামাটির সাধারণ মানুষই সেই মাছ সহজে খেতে পাচ্ছে না। বাজারে মিলছে দুর্গন্ধযুক্ত পুকুরের মাছ কিংবা আমদানি করা হিমায়িত মাছ। অথচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের টাটকা মাছ।
স্থানীয়দের ক্ষোভ, হ্রদের পাশে থেকেও বঞ্চিত আমরা”রাঙামাটি শহরের কলেজপাড়া বাজারে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা মংসা চাকমার সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা হ্রদের পাড়ে থাকি, কিন্তু কাপ্তাই হ্রদের মাছ কিনতে গেলে দাম এত বেশি যে সাধ্যের বাইরে। বেশিরভাগ মাছ চলে যায় ঢাকায়। স্থানীয়দের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।
একই অভিযোগ করলেন গৃহিণী শেলী দত্ত। “বাজারে যে মাছ পাই, তার গুণগত মান খুব খারাপ। অথচ জানি, হ্রদে প্রচুর মাছ আছে। তাহলে আমরা কেন খাবো না আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, মাছ ব্যবসায়ী, বিএফডিসি ও মৎস্য কর্মকর্তারা আলোচনায় বসুন। কাপ্তাই হ্রদের মাছ স্থানীয়দের জন্য সহজলভ্য করতে হবে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে পাশে থাকবে।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, এখানে মাছের সয়লাব হওয়ার কথা। এত মাছ যায় কোথায় এর সঠিক উত্তর দিতে হবে।
কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) হাতে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ বিএফডিসির কার্যক্রম মূলত বাইরের বাজারের দিকে কেন্দ্রিত। ফলে জেলা সদর ও আশপাশের মানুষ বঞ্চিত।
রাঙামাটি পৌর প্রশাসক মোবারক হোসেন বলেন, হ্রদের মাছের একটা কোটা স্থানীয় বাজারের জন্য নির্ধারণ করা জরুরি। নাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়বে।
স্থানীয়দের মতে, প্রতিদিন ভোরে ট্রাকে করে বিপুল পরিমাণ মাছ চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। এ প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও হ্রদপাড়ের বাসিন্দারা বাজারে ন্যায্য দামে টাটকা মাছ পান না।
একজন মৎস্য ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঢাকায় বিক্রি করলে দাম বেশি পাওয়া যায়। তাই সবাই মাছ সেদিকেই পাঠায়। স্থানীয় বাজারে রাখলে ক্ষতি।
সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খিসা বলেন, মানসম্মত টাটকা মাছ না খাওয়ার কারণে স্থানীয়রা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। শিশুদের বৃদ্ধির জন্য হ্রদের মাছ অপরিহার্য।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা বলেন, স্থানীয়দের আমিশ পূরণ করে জেলার বাইরে নেয়ার অনুমতি দিতে হবে। কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত সকল প্রকার মাছের স্থানীয় বাজার দর নির্ধারণ করা জরুরী। জেলার বাইরে থেকে ডোবা-নালার মাছ যেন রাঙামাটি জেলায় বাজার দখল করতে না পারে সে বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
হ্রদের মাছ আহরণের পর স্থানীয় বাজারে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
বিএফডিসিকে স্থানীয় বাজারে সরাসরি বিক্রয়কেন্দ্র বাড়াতে হবে। মাছ পাচার রোধে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জেলেদের অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
কাপ্তাই হ্রদের মাছ নিয়ে ক্ষোভ নতুন নয়। তবে এবার জেলা প্রশাসক সরাসরি এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। স্থানীয়রা আশা করছেন, শুধু বক্তব্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। না হলে দেশের সবচেয়ে বড় হ্রদের তীরে থেকেও রাঙামাটির মানুষ মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবেন।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন
কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা
নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ 