শনিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে
শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই মহেন্দ্রক্ষণে কারই হঠকারিতার কোন অবকাশ নেই।বিচার ও সংস্কারের ধারায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথকে প্রশস্ত করতে হবে।গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল ও অংশীজনকে এই লক্ষ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য উপলব্ধিতে নিতে পারেনি; যে কারণে গত ১৪ মাসে বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপুল সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারের একাংশ নিজেরা যেমন লোভে পড়েছে, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও তারা লোভ আর ক্ষমতালিপ্সা জাগিয়ে তুলেছে।প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার অভাবে তারা রাজনৈতিক দল ও জনগণের নজিরবিহীন সমর্থনকে কাজে লাগাতে পারেনি, বরং এই সমর্থনকে তারা দূর্বলতা হিসাবে বিবেচনা করে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকারের অকার্যকারিতায় সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। গত ১৪ মাসেও আমরা প্রতিবিপ্লব - প্রতিঅভ্যুত্থানের আশংকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।সরকারের অদূরদর্শীতায় গণঅভ্যুত্থানবিরোধী নানা অপশক্তির তৎপরতাও বাড়ছে।রাজনৈতিক দলসমূহের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রাজপথ বা এলাকা দখলের সহিংস প্রতিযোগিতায় পর্যবশিত হলে রাজনৈতিক নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং গণ অভ্যুত্থানের অর্জন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন, গণভোট ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের অনেকটা নির্ভর করছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর।এ কারণে একদিকে সরকারকে যেমন যাবতীয় পক্ষপাতমূলক ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, অন্যদিকে সবাইকে আস্থায় নিয়ে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ়চিত্ত ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা আর কোন টাকার খেলা দেখতে চাইনা।অতীতের মত নির্বাচনে টাকার খেলা আর পেশীশক্তির দৌরাত্ম চলতে দিলে আগামী সংসদও বিত্তবান আর ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিনত হবে।
তিনি গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে দেশবাসীকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সমাবেশে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গত ১৪ মাসে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, চাকুরীচ্যুতি ও না খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। বাজারের আগুনে মানুষ দিশেহারা। এই সময়কালে নারীবিদ্বেষ নতুন চেহারা নিয়েছে।রাজনৈতিক দলগুলোর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবর কারণে এবারও সংসদে নারীদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি।
রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান বলেন, উন্নত ব্যবস্থাপনার নাম করে আমাদের সমুদ্র বন্দর বিদেশী কোম্পানির কাছে তুল্র দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়।তিনি অবিলম্বে দেশ ও জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সমবেতকন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জুলাই - আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশ শুরু হবে।
জনগণের জীবন জীবিকা নিশ্চিত, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সমগ্র প্রশাসন ঢেলে সাজানো, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব উচ্ছেদ, দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার তৎপরতা বন্ধ, গণঅভ্যুত্থানের গণ আকাংখ্যা বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আট দফা দ আশু দাবিতে এই সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করা হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে ও রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড,মাহবুবুল করিম টিপু, মাহমুদুল হাসান পিপলু, সজীব সরকার রতন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাইফুল ইসলাম, জুঁই চাকমা, অরবিব্দু বেপারী বিন্দু, শেখ মোহাম্মদ শিমুল, মীর রেজাউল আলম, এমডি ফিরোজ, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশের পর পার্টির পার্টির নেতা কর্মীদের গণমিছিল হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, দৈনিক বাংলা, নয়া পল্টন, বিজয়নগর হয়ে সেগুন বাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন
কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা
নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ 