
মঙ্গলবার ● ২৭ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » চুয়েটে “ডিজিটাল স্কিল ট্রেইনিং ফর স্টুডেন্টস” শীর্ষক ট্রেইনিং অনুষ্ঠিত
চুয়েটে “ডিজিটাল স্কিল ট্রেইনিং ফর স্টুডেন্টস” শীর্ষক ট্রেইনিং অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) কর্তৃক পরিচালিত EDGE (ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট এন্ড ইকোনোমি) প্রকল্পের সহযোগীতায় “ডিজিটাল স্কিল ট্রেইনিং ফর স্টুডেন্টস” শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আজ ২৭ মে মঙ্গলবার ২০২৫ চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া।
এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন আইআইসিটি এর সহযোগী পরিচালক ড. মোঃ মঞ্জুর উল হাসান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের আইআইসিটি এর পরিচালক ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চুয়েটের ইটিই ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী তন্ময় দত্ত ও নাফিসা নাওয়ার। প্রশিক্ষণে মোট ১৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১৩০৬ জন প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।
পাসের হার ছিল ৮৭%। এছাড়া এতে চুয়েটের মোট ৭৫০ জন প্রশিক্ষণ নেন যার মধ্যে ৭২১ জন সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।
অন্যদিকে চুয়েটের বাইরে থেকেও ৭৫০ জন অংশ নেন এবং তাদের মধ্যে ৫৮৫ জন প্রশিক্ষণ শেষ করেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ৪২ জনেরও বেশি একাডেমিক প্রশিক্ষক এবং ২০ জনের বেশি ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট যুক্ত ছিলেন। কর্মসূচিতে ৩০টি ইন্টারমিডিয়েট কোর্স এবং ২৯টি ফাউন্ডেশন কোর্স পরিচালিত হয়।
এছাড়া ১৫ জন মেন্টর প্রশিক্ষণার্থীদের দিকনির্দেশনায় যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক বাস্তবায়িত এবং বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের (GoB) অর্থায়নে পরিচালিত EDGE (ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট এন্ড ইকোনোমি) প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে বিশ্বমানের জনসম্পদে পরিণত করতে হবে, যেন তারা দেশীয় ও বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই। গতানুগতিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যে যত বেশি জানবে, বিশ্বায়নের যুগে সে তত এগিয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে এখন থেকেই এই দক্ষতাগুলোতে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। ভবিষ্যতে এমন অনেক কাজ তৈরি হবে যা সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে।”