শিরোনাম:
●   আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল ●   রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ ●   বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন ●   তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো ●   ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন ●   ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ●   থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে ●   কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   কাল ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণ মিছিলে ●   কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা ●   শীর্ষ চরমপন্থি লিপ্টনের জামিন বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ ●   নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ●   ৮ দফা দাবিতে ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল ●   মিরসরাইয়ে ৭৫ লক্ষ টাকার চরঘেরা জাল ধ্বংস ●   ওসি ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অপরাধ দমনে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি ●   ঢাকায় সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কালীপূজা ●   রাঙামাটির দুর্গম প্রংজাং পাড়ায় স্কুলে চেয়ার ও টেবিল প্রদান করেছে ৯ বিজিবি
ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী
৬৫৯ বার পঠিত
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী

--- সাইফুল হক :: সভ্যতা মানবজাতিকে নানা দিক থেকে যেমন এগিয়ে দিয়েছে, তার জীবনযাত্রাকে সহজ ও আধুনিক করেছে: উন্নয়নের অপার সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। বিপরীত দিক থেকে আবার বহুভাবে জীবনকে জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
প্রগতি ও উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারা নারীর জীবনেও অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিয়েছে। কুপমন্ডুকতার আগল থেকে দুনিয়াব্যাপী নারী অনেকখানি বেরিয়ে এসেছে।কোন কোন ক্ষেত্রে অবরুদ্ধ অবদমিত দশা থেকে তার মুক্তি ঘটেছে। সামন্ত সমাজ - সংস্কৃতি - মূল্যবোধ ভেংগে নারীকে নানা দিক থেকে ধীরে ধীরে অবমুক্ত করেছে; স্বাধীন মানুষ হিসাবে তার বিচরণের ক্ষেত্র তৈরী করে খানিকটা প্রশস্ত করেছে সন্দেহ নেই। পুরুষের চোখে দুনিয়াদারি না দেখে নারী নিজের চোখে বিশ্বসংসার দেখতে শুরু করেছে। পুরুষের স্বপ্নপূরণে নিজেকে আবদ্ধ না রেখে নারী নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নেও বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছে। কেবল মাতৃত্বেই নারী জীবনের পরম প্রাপ্তি - এই বোধ থেকেও নারী ক্রমে বেরিয়ে আসছে।ইতিমধ্যে দেশে দেশে নারীর অধিকার ও মর্যাদার কিছু স্বীকৃতিও অর্জিত হয়েছে। নিজের জীবন ও পেশার ক্ষেত্রেও নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু ক্ষমতা নেয়া গেছে। সন্তান ও সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসয়েও কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।কিন্তু সামগ্রিকভাবে এখনও পর্যন্ত অধিকারের দিক থেকে নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক পিছনে।

পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুরুষের পাশাপাশি নারীও কাগজে কলমে ততটা স্বাধীন হয়েছে যতখানি স্বাধীনতা পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব, বিকাশ ও টিকে থাকার জন্য জরুরী।তারা যত্ন করে শ্রেণী শোষণের বিষয়টি
আড়ালে রেখে দিতে চায়। দাসব্যবস্থা বা পরবর্তীতে সামন্ততান্ত্রিক সমাজের বন্দীত্ব বা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তার দৈহিক মুক্তি ঘটলেও পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও শ্রমদাসত্বের নতুন জোয়ালে জুড়ে দিয়েছে। পুরুষ শ্রমিকদের মত নারীর শ্রমশক্তি যেমন পণ্যে পরিনত হয়েছে, তেমনি নারীদের এক বড় অংশের দেহকেও এক ধরনের পণ্যে রুপান্তর করা হয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রীক ভোগবাদী পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থা নারীকে রীতিমতো বাজারের বিকিকিনিতে পর্যবসিত করেছে। এই বিকিকিনি এখন ধনবাদী ব্যবস্থার অনিবার্য অনুসংগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুনিয়াজুড়ে এখন শ্রমশক্তির এক বড় অংশ, কমপক্ষে ৪০ শতাংশ এখন নারী শ্রমিক। সামাজিক উৎপাদনেও এখন নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সামাজিক উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার পরেও নারীর সামাজিক মুক্তি ঘটেনি। নারী একঅর্থে এখনও দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হয়ে আছে। এখনও সবক্ষেত্রে সমান কাজে নারীদের পুরুষের সমান মজুরী নেই।অনেক ক্ষেত্রে নেই উপযুক্ত কর্মপরিবেশ।
আর অপ্রাতিষ্ঠানিক নারীশ্রমের পরিস্থিতি খুবই সোচনীয়। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ দেশে গার্হস্থ শ্রম এখনও হিসাবের বাইরে। জাতীয় অর্থনীতি ও জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এই খাতের অবদান এখনও বিশেষ গুরুত্ব পায়নি।

পুঁজিতন্ত্রের বিধিব্যবস্থা নারীকেও কিছু গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছে সন্দেহ নেই।কিন্তু ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য নারীকে লড়তে হয়েছে শতাব্দীর বেশী সময় ধরে।রাষ্ট্র ও সরকারে নারী প্রতিনিধিত্বের জন্যেও নারীদেরকে আন্দোলন করতে হয়েছে প্রায় গোটা শতাব্দী জুড়ে। দুনিয়ার অধিকাংশ দেশে এখন ভোটের অধিকারসহ নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয় কাগজে কলমে স্বীকৃতি পেলেও অনেক ক্ষেত্রে তা আনুষ্ঠানিকতায় বা আলংকারিক হয়ে আছে।

গত শতাব্দীতে, বিশেষ করে ঐতিহাসিক রুশ বিপ্লবের পর রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয়তার পরিসর ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই রাজনীতিতে কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসী মাফিয়া দৌরাত্মের প্রভাব যত বেড়েছে প্রত্যক্ষ নারী প্রতিনিধিত্ব আবার তত সংকুচিত হয়েছে। এসব বহুমাত্রিক প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যেই নারীকে তার অধিকার ও মুক্তির দিশা খুঁজে নিতে হচ্ছে।

বস্তুতঃ নারী এখনও প্রায় বিশ্বজুড়ে দ্বিবিধ শোষণ - নিপীড়নের শিকার। শ্রেণী শোষণ নির্যাতনের সাথে সাথে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক শোষণ আর নানা ধরনের অবদমন, নিপীড়ন। এক এক রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংস্কৃতিতে এর ভিন্নতা রয়েছে, রয়েছে প্রকারভেদ। রাষ্ট্র - সমাজ - অর্থনীতির নানা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শ্রেণী শোষণ - নিপীড়নের অবসান, বা নিদেনপক্ষে কমিয়ে আনা গেলেও পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়নের থাবা গুড়িয়ে দেয়া, গুটিয়ে আনা খুবই কঠিন।দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপ্লবোত্তর সমাজতান্ত্রিক বিনির্মানের কালে গত একশো বছরে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে ; হয়েছে নানা পরীক্ষা নীরিক্ষা, উঠা নামা; কিন্তু ব্যতিক্রম ছাড়া পুরুষতন্ত্রের বিনাশ করা যায়নি। কারণ এর শেকড় অনেক গভীরে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি মালিকানায় উত্তরাধিকার ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে পুরুষতন্ত্র বিদায় দেয়া কষ্ট কল্পনার সামিল।

বাংলাদেশে নারীরা এখনও অব্দি এই দ্বিবিধ শোষণ - নিপীড়নের শিকার। বাংলাদেশ তার জাতিরাষ্ট্র গঠনের গত ৫৩ বছরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির সূচকে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটেছে সন্দেহ নেই।দেশের সংবিধানে নারী - পুরুষের সমতা বিধানের কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে।কয়েকটি সামাজিক উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়েও রয়েছে।কিন্তু এখনও অধিকাংশ নারীর জীবনে বৈষম্য- বঞ্চনা, নির্যাতন- নিপীড়নই প্রধান সত্য।ধর্ষণ, অপহরণ, পাচার, গুম, খুন নারী জীবনে বড় আতংক হয়ে আছে।ঘরে বাইরে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়।প্রায়শই গভীর এক নিরাপত্তাহীনতা তাকে আঁকড়ে থাকে।

দুনিয়ার নানা প্রান্ত ও দেশের মত বাংলাদেশকেও যুদ্ধ, আগ্রাসন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের বড় দায়ভার বহন করতে হয়েছে নারীদেরকে। বাংলাদেশেও রাজনৈতিক সংকট, সংঘাত -সংঘর্ষের মত সহিংসতায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও নানা নির্মমতার শিকার হতে হয়। দেশের রাজনৈতিক দূর্যোগের শেষ ভোগান্তি বহন করতে হয় বিশেষভাবে নারীদেরকে; পরিবারের শিশু সন্তানদেরকেও চরম অসহায়ত্বের মুখোমুখি হতে হয়।

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড,গুম - খুনে,রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যখন নিহত হয়, গুম হয় তখন তার অবর্ননীয় মাশুল গুনতে হয় প্রধানত পরিবারের নারীদেরকে, শিশু সন্তানদের। আওয়ামী লীগ শাসনের টানা১৫ বছরসহ কেবল গত দুই দশকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে লক্ষাধিক মামলা ও প্রায় অর্ধকোটি আসামি তার খেসারতও দিতে হচ্ছে নারীদেরকে।পরিবারের লক্ষ লক্ষ পুরুষ সদস্যরা যখন ফেরারী থাকেন তখন হাজার হাজার পরিবারে চূড়ান্ত দূর্ভোগ নেমে আসে, তারা হয়ে পড়ে অসহায়; অসংখ্য পরিবার ভেংগেও যায়। এসব পরিবারসমূহের আহাজারি আর মানবিক আকুতি শোনার কেউই নেই। দল বা রাজনীতি করে তারা যেন মহাঅপরাধ করে ফেলেছে। একটা দমনমূলক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের ব্যবস্থায় বিরোধী রাজনীতি করা যে কত ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন তার এক বড় নজির।এই দিকটি এখানে এখনও তেমন আলোচিত নয়।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এখানকার রাষ্ট্র - প্রশাসন - থানা -পুলিশ- আইন - আদালত এখনও নারীবান্ধব নয়; নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অনুকূলে নয়।নারী অধিকারে বেশকিছু আইনী সুরক্ষা রয়েছে সত্য, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী তার সুফল থেকে বঞ্চিত। চিন্তা, চেতনা,মনন, মানসিকতায় এখনও পুরুষতন্ত্রের প্রবল আধিপত্য। এর সাথে যুক্ত রয়েছে নারীর গণতান্ত্রিক অধিকার ও মর্যাদা বিরোধী কূপমন্ডুক ধর্মান্ধ নানা প্রচারণা।

বাংলাদেশে গত পনের বছর ভোট ব্যবস্থার অবশিষ্টটুকু না থাকায়, ভোট ব্যবস্থা ভেঙে দেয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ, বিশেষ করে নারীরা।ভোটের অধিকার কার্যতঃ অস্বীকৃত হওয়ায় নারী আরও অধিকারহীন,আরও ক্ষমতাহীন,আরও গরীব হয়েছে। সরকার ও সরকারি দল এই ভোটের অধিকার হরণ করে যখন আবার নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলে তখন তা এক মহাপ্রতারনায় পর্যবসিত হয়।

এটা স্পষ্ট যে, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীকে একদিকে শ্রেণী ও পুরুষতান্ত্রিকতার যাতাকলে আর অন্যদিকে বৈরী সমাজ ও রাষ্ট্রসহ প্রচ্ছন্ন নারী বিদ্বেষী প্রায় গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে।

নারীকে প্রধানতঃ এ লড়াই একাই করতে হয়।কিন্তু এটা নারীর একার লড়াই নয়।এটা নারী - পুরুষের যুথবদ্ধ যৌথ আন্দোলন। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অধিকারহীন ও ক্ষমতাহীন রেখে কোন সমাজেরই আর সামনে এগুতে পারবেনা।একচাকার সাইকেল নিয়ে যেমন বেশীদূর এগুনো যায়না তেমনি পঞ্চাশ শতাংশ মানুষকে উপেক্ষা করে সমাজ প্রগতির কোন সম্ভাবনা নেই।বস্তুতঃ নারী মুক্তির লড়াই আর সামাজিক মুক্তির লড়াই অবিচ্ছেদ্য। নারীমুক্তি ছাড়া যেমন সামাজিক মুক্তি নেই, তেমনি সামাজিক রাজনৈতিক বিপ্লব ছাড়াও নারীর মুক্তি নেই।
সমন্বিত এই লড়াইয়ের কাফেলা যত জোরদার হবে নারীও তত মুক্ত হবে।

(৮ মার্চ ২০২৪ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ঢাকায় শ্রমজীবী নারী মৈত্রী আয়োজিত
” বিপন্ন দেশে বিপন্ন নারী ও মুক্তির লড়াই ” শীর্ষক বক্তব্যের অনুলিখন)।





আর্কাইভ