শিরোনাম:
●   রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ভিত্তিতে সরকারকে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে হবে ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী যুব সংহতির জেলা কাউন্সিলে ৩৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন ●   আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল ●   রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ ●   বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন ●   তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো ●   ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন ●   ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ●   থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে ●   কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন ●   কাল ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণ মিছিলে ●   কাউখালীতে কৃষি ব্যাংকের মতবিনিময় সভা ●   শীর্ষ চরমপন্থি লিপ্টনের জামিন বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ ●   নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ●   ৮ দফা দাবিতে ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল ●   মিরসরাইয়ে ৭৫ লক্ষ টাকার চরঘেরা জাল ধ্বংস ●   ওসি ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অপরাধ দমনে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি
ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শবে বারাতকে কেন্দ্র করে মাংসের দাম বৃদ্ধিতে বিরক্ত ক্রেতারা
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শবে বারাতকে কেন্দ্র করে মাংসের দাম বৃদ্ধিতে বিরক্ত ক্রেতারা
২০৫ বার পঠিত
সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেটে শবে বারাতকে কেন্দ্র করে মাংসের দাম বৃদ্ধিতে বিরক্ত ক্রেতারা

--- হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: মুক্তির রজনী লাইলাতুল বরাত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যে দিয়ে সিলেটে পালিত হচ্ছে। কিন্তু এই পবিত্র রজনী মানুষের চাহিদাকে পুজি করে সিলেটে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সিলেটে বেড়েছে মাংসের দাম। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর আবাসিক এলাকার দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮২০ থেকে ৮৫০ করে।

পবিত্র লাইলাতুল বরাতে ভালো খাবারের আয়োজনের রেওয়াজ রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে। এরমধ্যে অন্যতম অনুষঙ্গ গরুর মাংস-রুটি। এ উপলক্ষে বাড়তি চাহিদা গরু মাংসের। আর এ সুযোগে বাড়তি দাম হাকান মাংস ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সিলেটে বেড়েছে মাংসের দাম। এপ্রসঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে গরুর মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে সারাদেশেই হাটে গরুর দাম বেড়েছে। শুধু আজকের দিনকে ঘিরে গরুর দাম একদিনে কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেড়েছে। পবিত্র শবে বরাতের কারণে চাহিদা বাড়ায় হাটে গরু পাওয়াই যাচ্ছে না। এ কারণে দাম বেড়েছে। এজন্য সিলেটের বিভিন্ন বাজারেও একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাদ সন্ধ্যা সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাজারে গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে সিলেটের হেতিমগঞ্জ বাজার, টিকরপাড়া, রামধাবাজার, বিয়ানীবাজারে।

দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও নগরীর বিভিন্নস্থানের বেশিরভাগ মাংসের দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। তবে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও মাংসের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে এক ক্রেতা বলেন, কি আর করবো এখন দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। কষ্ট হলেও কিছু করার নেই। এমন একটি পবিত্র দিনকে কেন্দ্র করে মাংসের এ মূল্যবৃদ্ধি ঠিক নয়। হুট করে এভাবে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

প্রতারিত রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন

সিলেট :: সিলেটের বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটে দোকান ক্রয় করে মালিকপক্ষের প্রতারণার হয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলাম নজমুল। এবং দোকান ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মো. আমিরুল ইসলাম নজমুল দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের গোপশহর গ্রামের মরহুম মো. তহুর আলীর পুত্র।

শনিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমিরুল ইসলাম নজমুল জানান- করিম উল্লাহ মার্কেটের মালিক শাহপরাণ থানাধীন খরাদিপাড়ার আনন্দ-৩৮ নং বাসার বাসিন্দা মো. আমান উল্লাহর ছেলে ছানা উল্লাহ ফাহিম ও তার চাচাতো ভাই মো. শাহজাহান উল্লাহর ছেলে আতাউল্লাহ সাকের প্রতারণার মাধ্যমে অন্তত ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের দোকান দখল করে রেখেছেন।

তিনি বলেন- ২০০১ সালে করিম উল্লাহ মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হলে দ্বিতীয় তলায় ১০৪.৫২ স্কয়ার ফিটের ৩৪ নং দোকানকোঠা ক্রয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০০৩ সালে কাজ সম্পন্ন হলে মূল চুক্তিপত্র সম্পাদন করে দোকানটি বুঝে নেন। নির্মাণকালীন তিন বছরে তিনি দোকানকোঠার মূল্য বাবদ তিন ধাপে মালিকপক্ষকে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। প্রথমে আমিরুল মালিকপক্ষের মনোনীত একজনকে ভাড়া দেন এবং নিয়মিত জামিদারি ভাড়া পরিশোধ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর দোকানকোঠার প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে মালিকপক্ষের। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ‘রক্ষণাবেক্ষণ’ বাবদ আমিরুলের কাছে জমিদারি ভাড়া ছাড়াও মাসিক আরও বাড়তি ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি এতে সম্মত না হওয়ায় তারা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই মাঝে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমিরুল তার দোকানের পূর্ববর্তী ভাড়াটিয়াকে বের করে ১ অক্টোবর দিলদার হোসেন নামে নতুন ভাড়াটিয়াকে দোকান বুঝিয়ে দেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মালিকপক্ষ। কারণ- তারা তাদের মনোনীত ভাড়াটেকে দোকান ভাড়া দিতে চেয়েছিলো। ফলে ওই বছরের ৫ অক্টোবর আমিরুলের ভাড়াটিয়াকে বের করে দিয়ে ‘জমিদারি ভাড়া বকেয়া’ মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ছানাউল্লাহ ফাহিম দোকানটিতে তালা মেরে দেন। দখলের পর ছানাউল্লাহ ফাহিমের সঙ্গে দেখা করে নিয়মিত জমিদারির ভাড়া পরিশোধের রশিদ প্রদর্শন করেন আমিরুল। ওই সময় ছানাউল্লাহ ফাহিম ও তার সহযোগিলা আমিরুলকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে তিনি প্রাণভয়ে লন্ডন ফিরে যান। লন্ডনে গিয়ে মার্কেটের আরেক মালিক আতাউল্লাহ সাকেরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান চান আমিরুল। কিন্তু সাকের সমাধান না দিয়ে উল্টো উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভাড়াটিয়া দিলদার হোসেনের প্রতি ‘অবৈধ মোবাইল ফোন বেচা-কেনা’র অভিযোগ তুলে দোকানে তালা মারা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে মালিকপক্ষ নতুন ভাড়াটিয়াকে দোকান দিয়ে ফের সেই দিলদারকেই কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমিরুল আরও জানান- দোকান বেদখল হওয়ার পর ফিরে পেতে তৎকালীন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের হাইকমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। হাইকমিশনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তৎকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, প্রবাসী সেল প্রধান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। এভাবে চারবার যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে চিঠি আসলেও তদন্তকাজ এগুয়নি। বরং তদন্ত শুরু হলেই এখানের সকল প্রশাসন ও দপ্তরকে ছানাউল্লাহ ফাহিম ও আতাউল্লাহ সাকের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে ফেলেন। ফলে বার বার বাধাগ্রস্থ হয়েছে প্রশাসনিক তদন্তকাজ ও তৎপরতা।

পরবর্তীতে দোকানকোঠাটি ফিরে পেতে বার বার ছানাউল্লাহ ফাহিম, আতাউল্লাহ সাকের, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-এমনকি সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সমাধান পাননি আমিরুল। একর্যায়ে আমিরুলকে সেই দোকানের মায়া ত্যাগ করে ১৫ লাখ টানা নিয়ে লন্ডন ফিরে যেতে মালিকরা প্রস্তাব দেন। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি আমিরুল রাজি হননি। পরে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলে ছানাউল্লাহ ফাহিম ও আতাউল্লাহ সাকেরের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে তারা দেশে একটি সংবাদ সম্মেলন করে অনেক মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেন। ‘সুবিচার’ পেতে ছানাউল্লাহ ফাহিম ও আতাউল্লাহ সাকেরের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে আদালতে প্রতারণা মামলা এবং ২০২৩ সালের ৪ জুন সিলেট জেলা যুগ্ম জজ ২য় আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন বলে জানান আমিরুল। মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন। বেদখল হওয়ার পর থেকে দোকানের ভাড়া থেকে বঞ্চিত এবং গত সাড়ে ৩ বছর ধরে এ বিষয়ে নানাভাবে টাকা ব্যয় হওয়ায় দোকানকোঠার মূল্য ছাড়াও তাঁর অন্তত ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

টাকা আত্মসাত ও ব্যবসা দখলের অভিযোগে আইনজীবীর সংবাদ সম্মেলন

সিলেট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর এলাকায় এক ব্রিক ফিল্ড ব্যবসায়ীর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি উলটো টাকা আত্মসাতকারী দুই পার্টনারের সঙ্গে আঁতাত করে ব্রিক ফিল্ডটি দখল করে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানের পথে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট হাসিনা মমতাজ। এছাড়াও তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিনজনই স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে তারা সব মহলেই তাদের অবৈধ প্রভাব খাটাচ্ছে। এ অবস্থায় আমার পরিবার জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সার্বিক বিষয়ে আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ তুলে ধরেন সিলেট মহানগরের কাজিটুলা এলাকার ৫ নং বাসার (চৌধুরী ভিলা) বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হাসিনা মমতাজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ‘আমার স্বামী মাহবুবুর রহমান ২০১৮ সালে সালুটিকর এলাকার নওয়াগাঁয়ে দু’জন পার্টনারকে নিয়ে ‘মেসার্স রূপালী ব্রিকস’ নামে একটি ব্রিক ফিল্ড গড়ে তুলেন। পার্টনার দুজন হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈব থানার দক্ষিণ হোগলা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. শিপন খান ও নওয়াগাঁয়ের মৃত আব্দুস সুবহানের ছেলে নাসির উদ্দিন। এর মধ্যে শিপন আমার স্বামীর আত্মীয়। ব্রিক ফিল্ড স্থাপনকৃত জামির মালিক সানজিদা ইসলাম শিপন খানের স্ত্রী। আমার স্বামী ২০১৯ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত জমি ভাড়া বা লিজের চুক্তিপত্র করেন। পাশাপাশি ব্রিক ফিল্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিজের নামেই করেন আমার স্বামী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিপন ও নাসিরের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন আমার স্বামী। কিন্তু ওই সময় একটি দুর্ঘটনায় আমার স্বামীর বাম পা ভেঙে যায়। ফলে দুই মাস ব্রিক ফিল্ডে যেতে পারেননি। আর এই সুযোগে শিপন খান ও নাসির উদ্দিন ব্রিক ফিল্ডের ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দামের ২৬ লক্ষ ইট বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেন। পরবর্তীতে আমার স্বামী দুজনের কাছে বাৎসরিক হিসাব চাইলে তারা টাকা না দিয়ে উল্টো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। ব্রিক ফিল্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ঋণ ছিলো। অর্জিত টাকা থেকে ঋণ পরিশোধেরও কথা থাকলেও ওই ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা শিপন খান ও নাসির উদ্দিন আত্মসাৎ করায় আমার স্বামীর উপর ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়তে থাকে।

উপায়ন্তর না দেখে আমার স্বামী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বিচার চাইলে পরবর্তীতে তাদের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় ৫-৬ বার বিচার-সালিশ হলেও শিপন খান ও নাসির উদ্দিন আমার স্বামীর ভাগের টাকা পরিশোধ করেননি। একপর্যায়ে ঋণের বোঝা থাকায় ও কয়লার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ব্রিক ফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আমার স্বামী। ব্রিক ফিল্ড বন্ধ থাকা অবস্থায় শিপন খান ও নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় কাগজপত্র জালিয়াতি করে ‘মেসার্স রূপালী ব্রিকস’ নাম পরিবর্তন করে ওই স্থানে ‘মেসার্স নওয়াগাঁও ব্রিকস’ নামে ব্যবসা গড়ে তুলেন স্থানীয় নন্দিরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আমিরুল।

বিষয়টি জানতে পেরে আমার স্বামী পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘মেসার্স নওয়াগাঁও ব্রিকস’ নামের ব্রিক ফিল্ডের ছাড়পত্র বাতিল করার আবেদন করলে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি শুনানি শেষে এ ছাড়পত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক তাদের ছাড়পত্র বাতিলের পরও তারা জোর করে অবৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আর বিদ্যুৎ লাইন এখন পর্যন্ত আমার স্বামীর নামে থাকায় তাঁর নামেই বিল জমা হচ্ছে। এতে তাঁর ঋণের বোঝা আরও বাড়ছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিকবার যোগাযোগ করেও তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এ ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান প্রভাব খাটাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট হাসিনা মমজাত আরও বলেন- ‘সানজিদা ইসলামের কাছ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আমার স্বামী ব্রিক ফিল্ডের জমি ভাড়া বা লিজ নিলেও সেটির মেয়াদ বহাল থাকলেও তিনি অধিক টাকার লোভে পড়ে অবৈধভাবে অভিযুক্ত তিনজনকে নতুন চুক্তিপত্রে ফের ভাড়া দিয়েছেন। এ বিষয়ে সুবিচার পেতে আমি বাদী হয়ে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়া অবৈধভাবে চলা ব্রিক ফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে রিট করেছি। এদিকে, এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে শুনানির দিন ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আমিরুল আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং আমাকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় আমি গত ২৬ জানুয়ারি জিডি করেছি।

অপরদিকে, আমার স্বামীর টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি শিপন খান ও নাসির উদ্দিন ব্রিক ফিল্ড পরিচালনার সব কাগজপত্র, হিসাব বই, আমার স্বামীর নামীয় অ্যাকাউন্টের ব্ল্যাংক চেকের পাতা ও অলিখিত স্টাম্প তাদের কব্জায় রেখে দিয়েছেন। এসব চেক, স্টাম্প ও কাগজপত্র ব্যবহার করে তারা আমার স্বামীকে বিপদে ফেলার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এসব উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে আমি বাদী হয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাননীয় সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদারতে মামলা দায়ের করেছি।





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ভিত্তিতে সরকারকে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে হবে রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ভিত্তিতে সরকারকে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে হবে
রাঙামাটিতে বিপ্লবী যুব সংহতির জেলা কাউন্সিলে ৩৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন রাঙামাটিতে বিপ্লবী যুব সংহতির জেলা কাউন্সিলে ৩৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন
আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির  বরণোৎসব সম্পন্ন ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন

আর্কাইভ