
রবিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝালকাঠিতে সাংবাদিকের স্ত্রীকে জীবননাশের হুমকি
ঝালকাঠিতে সাংবাদিকের স্ত্রীকে জীবননাশের হুমকি
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির প্রয়াত সাংবাদিক মো. মনিরুজ্জামান মনিরের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় জীবননাশের হুমকি দিয়েছে তার আপন ভাসুর আবুল বাশার শামীম ওরফে ঘারব্যাকা শামীম।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শারমিন আক্তার।
সাধারণ ডায়েরির অভিযোগ তদন্ত করছেন এএসআই অনিমেষ বিশ্বাস।
ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান কালিবাড়ি রোডের ধানসিড়ি রেস্ট হাউজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছোট ছেলে মো. মনিরুজ্জামান মনির দৈনিক ভোরের কাগজ এবং দেশ টিভির ঝালকাঠি প্রতিনিধি ছিলেন।
ঝালকাঠি প্রেসক্লাব এবং টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সদস্য মনিরুজ্জামান ২০১৩ সালে মারা যান। মৃত্যুর পূর্ব থেকেই মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শহরের বাহের রোডে পিতার বাড়িতে থাকতেন।
মনিরুজ্জামানের বড় ভাই আবুল বাশার শামীম তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর কিছুদিন পরই হীন উদ্দেশ্যে প্রচার করতে করতে থাকে যে সে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শারমীনকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছে। কিন্তু শারমীন আক্তার অভিযোগ করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ভাসুর আবুল বাশার শামীম ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও জমিজমার কাগজপত্র তৈরি করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও ছবি নেয়। সেই ছবি দিয়ে এফিডেভিট বানিয়ে সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করার চেস্টা করে এবং এবং আমার প্রয়াত স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া গাড়ীর ব্যবসার তদারকি ও জমিজমা দেখাশোনা করতে থাকেন।
২০২২ সালে আমার শ্বশুর আব্দুল মজিদ হাওলাদার মারা গেলে আমার স্বামীর বরিশাল বাস মালিক সমিতির দুটি বাসের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয় শামীম। হিসাব নিকাশের পর তার কাছে জমিবিক্রির এবং বাসের ব্যবসার ৫০ লাখ টাকা পাওনা থাকে। সেই পাওনা ৫০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আবুল বাশার শামীম এবং তার ছেলে সাইদুল বাশার স্বরণ বিভিন্ন সময় আমাকে এবং আমার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই আবুল বাশার শামীম এবং তার ছেলে স্বরণ শারমীন আক্তারকে তার বসত ঘরে এসে গালিগালাজ এবং হত্যার হুমকি দিয়ে বলে ফের পাওনা টাকা চাইলে সন্তানদের পথে ঘাটে খুন করে ফেলে রাখবে। এ ব্যাপারে শারমীন আক্তার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় ২৮ জুলাই রাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং ১৩৮০।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালত থেকে তদন্তর আদেশবলে জিডির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছেন এএসআই অনিমেষ। শিঘ্রই আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
প্রয়াত সাংবাদিক মনিরুজ্জামানের স্ত্রী শারমীন আক্তার বলেন, আমার ভাসুর আবুল শামীম খারাপ প্রকৃতির লোক,নিজের স্বার্থের জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন। শুধু টাকা পয়সা আত্মসাৎ নয় তিনি আরও জঘণ্য প্রকৃতির অন্যায় করে যাচ্ছেন যা সঠিক সময়ে প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে আবুল বাশার শামীমের ০১৭১১৪৮৫৩৮৭ নম্বরে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই আমি ব্যস্ত আছি বলে কল কেটে দেন।