
শনিবার ● ২৪ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » ফটিকছড়ির কাঁঠালের কদর সারাদেশে
ফটিকছড়ির কাঁঠালের কদর সারাদেশে
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হাটবাজার ও গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এ কাঁঠালের কদর রয়েছে সারাদেশে। তবে এবার কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে বলে জানান চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের মধ্যে জমজমাট বিক্রি চলছে বারি১, বারি২, খাজা, দোসরা, গালা জাতের কাঁঠাল। বাজারে কাঁঠালের মৌসুম শুরুর সাথে ক্রয় বিক্রয় শুরু হয় বলে জানান চাষিরা। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এর কদরও রয়েছে বেশ ভালো। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে স্থানীয় কৃষকরা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করে অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছে। এদিকে এ বছর আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম আর কাঁঠালের আকার ছোট হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন বাগানমালিক ও মৌসুমি কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় কাঁঠালের ফলনে এ বিপর্যয় বলে মনে করছেন বাগানমালিকেরা।তাছাড়া কাঠাল গাছ কেটে ঘরের ফার্নিচারসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার কারণে কাঁঠাল গাছ এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, উপজেলায় ১২শত ৮৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান রয়েছে।
এ ছাড়া এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় কাঁঠাল গাছ রয়েছে।
উপজেলার হেয়াকো, বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, পাইন্দং ইউপির ডলু, কাঞ্চননগর ইউপির বাইরে খিরামসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে বাগান ছাড়াও পুকুর পাড়, বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁঠালের ফলন। কাঁঠালের সুমিষ্ট ঘ্রাণে চারদিক এখন মৌ মৌ গন্ধে ভরপুর। কাঁঠাল চাষিরা জানান গাছে ফলন দেখা গেলেও গত বছরের তুলনায় কম। গতবছর যেভাবে বাম্পার ফলন হয়েছে এবার তেমন হয়নি।
ফলন বিপর্যয়ের জন্য প্রকৃতির বিরূপতাকেই দায়ী করেছেন কৃষকেরা।
বাংলা পাড়া এলাকার কৃষক মো. আবদুল মুনাফ বলেন, বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়, খোলা জায়গায় তার ১৫টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০- ৫০টির কাঁঠাল এসেছে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়। ইসমাইল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে খুব কমই কাঁঠাল এসেছে। গাছে প্রচুর কাঁঠালের মুকুল আসলে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে তা প্রায় ঝরে গেছে। নারায়ণহাট এলাকার কাঁঠাল বাগানের মালিক মো. হোসেন জানান, গতবছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে। বাগান পরিচর্যা করার খরচ অনেক বেশি ফলে চরম লোকসান পোহাতে হবে।
দাঁতমারা কৃষি উপসহকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ফলন কম হয়েছে। তাছাড়া গাছ কেটে নতুন বাগান সৃজন না করায় কাঁঠালের ফলনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, এখানকার টিলা ভূমিতে কাঁঠালের ভাল ফলন হয়। এ বছর কাঁঠালের ফলন কম হলেও তুলনামূলকভাবে খারাপ নয় বলে জানান তিনি।