শিরোনাম:
●   নবীগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা নানু গ্রেফতার ●   রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রোডে অবৈধ সভাপতি সৈয়দ কোম্পানীর লক্কর-জক্কর বাস চলাচল করছে ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ●   চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল ও সম্পাদক প্রিয়তোষ ●   ঈশ্বরগঞ্জে নকলে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষকের উপর হামলার চেষ্টা ●   রাবিপ্রবি’তে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা ●   রাঙামাটিতে প্রবীন ব্যাক্তি ইন্দ্রজিৎ ত্রিপুরার পাশে জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব আজম ●   স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ●   সফল এভারেস্ট পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর ●   নির্বাচন কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দের বৈঠক ●   ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ●   চার দিনের সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ●   পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের মানববন্ধন ●   নবগঠিত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নবীন দলের পরিচিতি সভা ●   ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী ●   প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে ইয়েন ইয়েন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে : রাঙামাটিতে কাজী মজিবর রহমান ●   ধর্ষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল রাঙামাটির শিক্ষার্থী-নাগরিক সমাজ
ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাউখালীতে মদ গাজা পাচার হচ্ছে ঢুকছে ইয়াবা
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাউখালীতে মদ গাজা পাচার হচ্ছে ঢুকছে ইয়াবা
১৮৪ বার পঠিত
সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কাউখালীতে মদ গাজা পাচার হচ্ছে ঢুকছে ইয়াবা

--- মো. ওমর ফারুক, কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলা বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিদিন দিনে এবং রাতে মদ গাজা পাচার হওয়ার সাথে ইয়াবা ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সুত্র জানায় উপজেলার ঘাগড়া বাজার, কচুখালী, মগাইছড়ি, কলমপতির ডাববুনিয়া ছড়া, আদর্শ গ্রাম, কোলা পাড়া, শিয়ালবুক্কা, বেতবুনিয়া দক্ষিণ পাড়া, মনারটেক, মনাই পাড়া, ডাক্তার ছোলা, ডাইলং পাড়া, চিকনছড়া, এলাকা হতে প্রতিদিন দিনে এবং রাতে সিএনজি অটোরিকশা কখনও মোটর সাইকেল, কার মাইক্রো, ট্রাকে, জিপ গাড়ি করে বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশীয় তৈরি বাংলা মদ দির্গদিন যাবত পাচার করে চলছেন বলে জানা যায়। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবাও ঢুকছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে এই দেশীয় তৈরি বাংলা মদ স্থানীয়ভাবে প্রতি লিটার বিক্রি করা হয় ৭/৮ শত টাকা লিটার। প্রতিদিন পাচার হওয়া এই বাংলা মদ কাউখালী উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয় আরো চড়াও দামে। যার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন সিন্ডিকেট গুলো দির্গদিন যাবত সু কৌশলে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন স্যালাইনের প্যাকেটে করে বস্তায় ভরে দির্গদিন যাবত এই মদ পাচার করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দির্গদিন যাবত বিভিন্ন সিন্ডিকেট ইয়াবা এনে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই সাথে বিপদগ্রস্ত হচ্ছে এসব এলাকার উঠতি বয়সের যুব সমাজ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গুরে ( যেসব তথ্য পাওয়া যায়) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, প্রায় দিন সন্ধার পরে বেতবুনিয়া ডাকবাংলো মাঠে এবং সুগারমিল- কলমপতি সড়ক দিয়ে বেতবুনিয়া বাজার এলাকায় অন্যদিকে ঘাগড়া বাজার এলাকায় মগাইছড়ি এলাকায় বেতছড়ি নামক এলাকায়, কচুখালী, ছেলাছড়া, জুনুমা ছড়া,পোয়াপাড়া, তারাবুনিয়া মারমা পাড়া, ডাববুনিয়া ছড়া, ডাইলংপাড়া, ডাক্তার ছোলা, চিকনছড়া, মনারটেক, মনাই পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিদিন দিনে এবং রাতে ও গভীর রাতে এবং ভোর রাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশীয় তৈরি বাংলা মদ পাচারের পাশাপাশি সব এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট প্রকাশ বাবা ঢুকছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেদারসে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করেন বলে জানা যায়।
আরো জানা যায় এসব এলাকার স্থানীয় গুটি কয়েক নামদারী (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) পাতি নেতার মাধ্যমে ৫ আগস্ট-২০২৪ ইং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরেও এসব নামদারী গুটিকয়েক পাতি নেতার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশীয় তৈরি বাংলা মদ যেমন পাচার হচ্ছে তেমনি ইয়াবা এনে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুবই গোপনে অধিক দামে এসব বাবা বিক্রি করে ধ্বংস করে চলছেন আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতবুনিয়া বাজার এলাকার কয়েক জন ব্যাক্তি বলেন, বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়ির সামনে জনপ্রিয় টেইলার্সের মালিক রিপন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা বনে গিয়ে মদ গাজা পাচার সিন্ডিকেট থেকে মোটা অংকের উতকোচ নিয়ে রাতারাতি বিশাল ধনসম্পত্তির মালিক বনে গিয়েছেন।
৫ আগস্ট -২০২৪ ইং এর পর বোল পাল্টে ভালো মানুষ সেজে টেইলারিংএর কাজ করে চদ্ম বেশ ধারণ করেছেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। অন্যদিকে ডাকবাংলো এলাকার স্থানীয় বিএনপি কৃষকদলের এক নেতা বলেন, সমাজে ভালো মানুষের কোন দাম নেই। যারা মদ গাজা পাচার করে আবার তারাই ইয়াবা এনে এলাকায় (৫ আগস্টের-২৪ পরে আগে আওয়ামী লীগ করতো এখন নব্য বিএনপি নামদারী) নেতা সেজে এলাকায় এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তাহলে আগামীর যুব সমাজের কাছে ভালো কি আমরা আশা করতে পারি? ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর গুটি কয়েক লোক ট্রাকে করে মদ গাজা পাচার করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা খেয়ে এক সময়ের আওয়ামীলীগ করতো এখন ভালো হয়ে যায় এবং এখন তারা নিজেদের কে বিএনপির নেতাকর্মী দাবী করেন। আমরা এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকতে চাই।অন্যদিকে গোদার পাড় ডাই লং পাড়ার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, কিভাবে আমরা মাদকমুক্ত সমাজ গড়ব। যেভাবে আমাদের এলাকা হতে প্রতিদিন এবং রাতে গভীর রাতে রাবার বাগান ভিতর দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা কখনও মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কারে, মদ পাচার করে চলছে সেখানে সমাজ কি করে ভালো থাকবে। তাছাড়া ইয়াবা ব্যাবসা তো গোপনে গোপনে চলছেই? সেই সাথে ডাইলং পাড়া ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যাসিমং মারমা নামে জনৈক নেতা দির্গদিন যাবত মদ পাচার হোতার সিন্ডিকেট প্রধান। সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কিছুদিন আত্বগোপনে থাকার পর আবারও সে ওপেন বেতবুনিয়া গোদারপাড় সহ বিভিন্ন এলাকা মাথায় হেলমেট লাগিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে গুরে বেড়ানোর পাশাপাশি মদ পাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বলে এলাকায় জণশ্রুতি রয়েছে। মগাইছড়ি এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন লোক পরিচয় গোপন রেখে বলেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ পাহাড়ি ( বাংলা মদ) মদ মগাইছড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গা হতে দিনে এবং রাতে সিএনজি অটোরিকশা কখনও মোটর সাইকেল, কখনো কার, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্সে, ট্রাকে করে পাচার করে চলছে তা বলার মতো নয়। পুলিশ প্রশাসন কি এসব জানেনা বলে তারা আক্ষেপ প্রকাশ করেন ! তাছাড়া ইয়াবা তো গোপনে আসে গোপনে বিক্রি করে একটি সিন্ডিকেট। জনৈক মিন্টু কার্বারী নামক স্থানীয় ব্যাক্তি অনেক কিছু তিনি জানেন বলে তারা জানান।
অন্যদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারী /২০২৫ ইং তারিখে রাঙামাটি মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোদারপাড় ডাইলং পাড়া নামক এলাকায় গোপন এক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ পাচার করার সময় উদ্ধার করেন এবং ২ জনকে আটক করে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ এপ্রিল /২০২৫ ইং রোজ বুধবার জেলা ডিবি পুলিশ এক গোপন সংবাদের মাধ্যমে বেতবুনিয়া চাইরোই বাজার ( হাটের দিন) হতে দুপুর বেলা ২ গাজা ব্যাবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের কাছে সৌপর্দ করেন এবং মোবাইল কোর্ট তাদের ২ জনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৭ দিন করে কারা দন্ড প্রদান করেন বলে জানা যায় । গত ১৭ এপ্রিল /২৫ ইং তারিখে বেতবুনিয়া রাবার বাগান ফরেনার চেক পোস্টে চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক দিয়ে বাসে করে মদ পাচারের সময় ২ জন বোরকা পরা মহিলাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ লিটার মদ( স্যালাইন প্যাকেটে) সহ রাবার বাগান পুলিশ আটক করেন বলে জানান। এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ১৯ এপ্রিল /২০২৫ ইং রোজ শনিবার সন্ধার পরে সুগারমিল - কলমপতি সড়কের নির্মাণাধীন নতুন মসজিদের সামনে সিএনজি অটোরিকশা যোগে বিপুল পরিমাণ মদ পাচারকালে স্থানীয় জনতা টের পেয়ে সাথে সাথে মদভর্তি সিএনজি অটোরিকশা আটক করে সংগে সংগে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে ফাঁড়ি হতে ফাড়ির আইসি এসআই মোঃ ইছাহক, এস আই সবুর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। এই প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে মোবাইল কল করলে এসআই সবুর বলেন আমরা সিএনজি অটোরিকশা টি তল্লাশি করে দেখতেছি বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। পরে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কথা হয় কাউখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগের সাথে, তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা আমাদের থানা এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল রেখেছি। কোথাও এসব মদ, গাঁজা, পাচারের কথা জানা নেই । এবং ইয়াবার ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর রাখছি।
তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করবো বলে তিনি জানান। তাছাড়া কয়েকটি এলাকায় ইয়াবা বিক্রি হয় বলে শুনেছি কিন্তু সেটি আমাদের থানা এলাকা নয় কাউখালী উপজেলার পার্শবর্তী রাঙ্গুনীয়া থানা এলাকায় পরেছে বলে তিনি জানান।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ও সচেতন নাগরিকরা মনে করেন দ্রুত যদি এসব এলাকা গুলি হতে এসব অবৈধ মাদকদ্রব্য পাচারবন্ধে প্রশাসন কঠোর না হয় পাশাপাশি ইয়াবা (বাবা) ট্যাবলেট এনে এলাকাগুলিতে বিক্রি করে আমাদের যুব সমাজকে নষ্ট করে ফেলছেন তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অথবা গোপনে অভিযান পরিচালনা করে কঠোরভাবে দমন করা না হয় তাহলে আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একদম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে সকলে একমত পোষণ করেন।
এ ব্যাপারে সরকারি প্রশাসনের কার্যকরী গুরুত্বপুর্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দ্রুত আহবান জানান।





আর্কাইভ