সোমবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাজাপুরে ২০১১ সালে ৬ র্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে লিমন হত্যা চেস্টা মামলা ৩ জানুয়ারি শুনানি
রাজাপুরে ২০১১ সালে ৬ র্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে লিমন হত্যা চেস্টা মামলা ৩ জানুয়ারি শুনানি
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে ছয় র্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্র লিমন হত্যাচেষ্টার মামলায় পিবিআই এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দাখিল করেছেন তার মা হোনোয়রা বেগম। সোমবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নারাজি দাখিল করা হয়। আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরুনুর রহমান শুনানির জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করেন বলে জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র নিয়োজিত লিমনের মায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে লিমনের বাম পা হাটু থেকে কেটে ফেলেন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমানসহ ছয় র্যাব সদস্যর নামে ঝালকাঠির আদালতে একটি হত্যা চেস্টা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে র্যাব সদস্যদের অব্যহতির সুপারিশ করেন। লিমনের মা হোনোয়রা বেগম ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন। নারাজী খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রিভিশন দায়ের করেন হেনোয়রা বেগম (রিভিশন নং ৩৫/১৩)। ২০১৮ সালের ০১ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস.কে এম তোফায়েল হাসান রিভিশন মঞ্জুর করেন। রিভিশন মঞ্জুর হওয়ার পর নিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম রেজা মামলাটি তদন্তের জন্য ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল পিবিআইকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আবারও থানা পুলিশের মত চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সত্য, তবে কারা তাকে গুলি করেছে তার কোন সাক্ষি প্রমান পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে সাক্ষী প্রমান পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে । এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে সোমবার নারাজি দাখিল করেন। লিমনের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কোন সন্ত্রাসী ছিল না। একটি ভালো ছেলেকে র্যাব গুলি করে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার দাবি করেছেন। উল্লেখ্য র্যাবের কথিত বন্দুক যুদ্ধে এক পা হারানো লিমন হোসেন ২০১৩ সালে এইচএসসি, ২০১৮ সালে আইন বিষয়ে অনার্স, ২০১৯ সালে এল.এল.এম পাস করেন । ২০২০ সালে লিমন হোসেন সাভারের গণবিশ^বিদ্যালয়ের আইনবিভাগে সহকারী প্রভাষক হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। লিমন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, র্যাব অন্যায়ভাবে আমাকে গুলি করে পঙ্গু করেছে । আমি অনেক কস্ট করে মানুষের ভালোবাসায় পড়ালেখা শেষ করেছি ঠিকই কিন্তু আমার পা হারানোর কস্ট ভুলতে পারছি না । যতদিন বেচেঁ আছি ততদিন যারা আমাকে পঙ্গু করেছে তাদের বিচার দাবি করবো। ২০১১ সালে ঘটনার পর লিমনকে সন্ত্রাসী দাবি করে র্যাব লিমনসহ আট জনের বিরুদ্ধে অস্ত্রআইনে এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল সেই দুটি মামলাতেই লিমনসহ সকল আসামীরা আদালত থেকে ২০১৮ সালে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছিল। ঘটনার শুরু থেকে লিমনকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)




রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ভিত্তিতে সরকারকে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে হবে
রাঙামাটিতে বিপ্লবী যুব সংহতির জেলা কাউন্সিলে ৩৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন
আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ 