বুধবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অসহায় ফাতেমার পরিবারের করুণ অবস্থা : বিচার চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার
অসহায় ফাতেমার পরিবারের করুণ অবস্থা : বিচার চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার
মোঃ ওমর ফারুক, কাউখালী প্রতিনিধি :: মানুষ মানুষের জন্য। সমাজের অসহায় মানুষ গুলি কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবে ? প্রশাসনের কাছে গিয়েও হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। এমনি এক পরিবারের করুণ কাহিনি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া চৌধুরী গোনার এক অসহায় ফাতেমার পরিবারের করুণ অবস্থা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
জানা যায় উপজেলার বেতবুনিয়া বাজারের পশ্চিম - দক্ষিণে দুই পাহাড়ে বেষ্টনীতে ঘেঁষা চৌধুরী গোনায় ছোট্ট এক পাহাড়ে ফাতেমা আক্তারের বাড়ি। বাড়ি বললে ভুল হবে। ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘর মা আর তার একমাত্র মেয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে তার পিতা মারা যায়। ফাতেমার মা হালিমা বেগম ছিলেন লংগদু সেখান থেকে বেতবুনিয়ায় চলে আসেন কয়েক বছর আগে। বেতবুনিয়া বদি আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে এক লোকের বাড়িতে থাকতেন সেখানে থাকা অবস্থায় ২০২১ ইংরেজি সালে চৌধুরী গোনার জেসমিন আক্তার রাশেদা নামক (বর্তমানে রাউজানে থাকেন) মহিলা হতে ১৫ শতক দখলীয় খাস জমি/ ছোট পাহাড় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় খরিদ করেন। ২০২৩ ইংরেজি সালে ফাতেমার মা সেখানে একটি টিনের ঘর তুলে মেয়ে এবং একমাত্র নাতিন কে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ বাচা ও তার আরেক ভাইর ছেলে মারুফের সাথে এই দখলীয় খাস জমি নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু।
ফাতেমার মা হালিমা বেগম বাদি হয়ে সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে গত ০৪.১০. ২০২ইংরেজি তারিখে এবং ফাতেমা আক্তার নিজে বাদি হয়ে ০৪.১০.২০২৫ ইং তারিখে গোদারপাড় আর্মি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় পার্শ্ববর্তী অভিযুক্ত বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ বাচা ফাতেমা আক্তারের মায়ের খরিদ কৃত খাস দখলীয় জমিটি তার দিল মৃত পিতা আনছার আলীর দখলীয় বলে দাবি করেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের গুটিকয়েক নেতা সিন্ডিকেটের প্রধান মোঃ মোহসিনের মাধ্যমে বাচার নিজ বাড়ির ( খাস দখলীয়) সামনের ছোট টিলা থেকে মাটি কেটে কয়েকশত ট্রাক মাটি বেতবুনিয়া ভু- উপগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে বলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে এবং এই মোহসীনের বিরুদ্বে রয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু নেতার ঠিকাদারির কাজ এখনো তদারকি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা ।
অন্যদিকে বাচা তখন থেকেই ফাতেমাদের পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে জ্বালা যন্ত্রণা ভয় ভিতি দেখিয়ে আসতেছেন।
এ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর গত ১০ নভেম্বর -২০২৪ ইং সালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সমম্বয়ে এক সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান।
সেই সালিশে স্থানীয় লোকজন রায় দিয়েছিলেন যে, অভিযুক্ত দিল মোহাম্মদ বাচা ফাতেমাদের খরীদকৃত দখলীয় ১৫ শতক জমি এবং টিনশেড ঘর সহ মোট সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বাচা তাদের বুঝিয়ে দিবেন ফাতেমার পরিবার দখল ছেড়ে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যাবেন। কিন্তু বিধিবাম।
কোন অজ্ঞাত কারণে ঝামেলা আর সমাধান হয়না। আবার নতুন করে ফাতেমাদের সাথে বাঁচার ঝামেলা সেই যে শুরু আর শেষ নেই। পট পরিবর্নের ফলে এরই মধ্যে বাচার বাড়ির সামনে এবং পাশে থেকে স্থানীয় গুটিকয়েক বিএনপি নামদারী নেতা মাটি কেটে নিতে শুরু করলে পুলিশ রাতের বেলা এসে মাটি সহ ড্রাম ট্রাক জব্দ করে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে যায়। বর্তমানে ড্রাম ট্রাকটি পুলিশ ফাড়িতে রয়েছে।
এই বিষয়কে কেন্দ্র করে শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র ফাতেমাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি পরিচয়ধারী নেতা মৃত কবির মিস্তিরি পুত্র মোহাম্মদ বাচা ও তার ভাতিজা মারুফ অসহায় ফাতেমার পরিবারকে শুরু করেন নতুন হুমকি দেয়া।
এ বিষয়ে ফাতেমার মা হালিমা বেগম বলেন, আমরা খুবই অসহায়। আমরা বর্তমানে খুব ভয়ের মধ্যে আছি। কখন জানি তারা আমাদের কোন ক্ষতি করে ফেলে। আমরা এর সু বিচার চাই।
বিষয় টি নিয়ে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় সমাজের সভাপতি বাবুল চৌধুরী বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বিচার করে দিয়েছি কিন্তু বাচা বিচার অমান্য করেন।
স্থানীয় এক বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সামাজিক ভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিচার করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সামান্য কয়েক টি গাছের কারণে সমস্যা টি আর সমাধান হয়েও সমাধান হলোনা। তা ছাড়া ফাতেমা আক্তারের পরিবার টি খুবই অসহায়? মেয়েটির স্বামী খুবই অসুস্থ। তার একমাত্র মেয়ে এবং তার মাকে নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে তাদের জীবন চলছে বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত দিল মোহাম্মদ বাচার মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি এবং তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে একটি মহল বিষয় টি নিয়ে রং তামাশা শুরু করেছেন বলে স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশের শর্তে জানান। দিল মোহাম্মদ বাচা সেও কেন সমাজের অন্য গুটিকয়েক লোকের দাবার গুটি হবেন? অসহায় ফাতেমা আক্তারের পরিবার কি তাহলে এই সমাজে সুষ্ট বিচার পাবেনা। রাত হলেই এই পরিবারটি অসহায় অবস্থায় ভয়ের মধ্যে রাতটি পার করেন। কখন ভোর হবে। একটু শান্তির নি:স্বাস নিবেন। এই সমাজের গুটিকয়েক নামদারী নেতা দাবিকারীদের কালো থাবার হাত থেকে সু রক্ষা পাবেনা! অসহায় ফাতেমা আক্তারের পরিবার। তাহলে কি দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে আমাদের সমাজের এই অসহায় মানুষ গুলি কোথায় কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবে। ফিরে পাবে তার অধিকার। ফিরে পাবে তার নিশ্চিত নিরাপত্তা এবং তার সঠিক অধিকার। শান্তিতে বাকি জীবন পার করার নিশ্চয়তা।
স্থানীয় প্রশাসনের সু দৃষ্টিই পাড়ে একটি অসহায় পরিবারের অনাগত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে। সেটাই স্থানীয় সচেতন মহলের একমাত্র দাবি।
ফাতেমার মা হালিমা বেগম আজ ১৫ অক্টোবর-২০২৫ বাচার বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন 