
রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কিশোরীকে কুপিয়েছে : গ্রেফতার-৩
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কিশোরীকে কুপিয়েছে : গ্রেফতার-৩
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। বুধবার রাতে মাঝিয়াকান্দি গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ মিয়া (৩০), সুলতান মিয়া (২৮) ও নয়ন মিয়া(২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২০) ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় কিশোরীর পরিবার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসিন এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই কিশোরীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াসিন ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে, গলায় হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করে। এসময় কিশোরীর আর্তচিৎকারে পরিারের লোকজন সহ প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মমেক হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াসিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জে সুদের টাকার জন্য বৃদ্ধ পিতাকে লাঞ্চিত, থানায় অভিযোগ
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুদে নেয়া পাওনা টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ পিতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আজিজুলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লাজয়পুর গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাজিম উদ্দিন (৭৭) ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগীর ছেলে সাদেক মিয়া ব্যবসার কারণে প্রায় দুই বছর পূর্বে বিদেশে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে আজিজুল হক (৩৮) দাবি করেন, সাদেক তার কাছ থেকে সুদের ওপর টাকা ধার নিয়েছেন। সাদেক বাড়িতে না থাকায় আজিজুল পাওনা টাকার জন্য তার বাবা কাজিম উদ্দিনকে চাপ দিতে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে আজিজুল হক কাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে এসে সুদের টাকা দাবি করেন। বৃদ্ধ কাজিম উদ্দিন ছেলের সুদি ঋণের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানালে আজিজুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করেন। এতে বৃদ্ধ কাজিম উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। কাজিম উদ্দিনের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্ত আজিজুল হক সবাইকে হুমকি দিয়ে বলেন, সুদের পাওনা টাকা না পেলে তিনি তার দলবল নিয়ে কাজিম উদ্দিন ও তার পরিবারকে খুন-জখম করবেন এবং তাদের জমি জোর করে দখল করে নেবেন।
এবিষয়ে প্রবাসী সাদেক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৫ সালে আজিজুলের কাছ থাকে ১৫হাজার টাকা প্রতি মাসে সুদ বাবদ ৩লক্ষ টাকা নেই এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত সুদের লাভ দিয়ে আসছিলাম। ২২ সালে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সুদের লাভ দেয়া বন্ধ করে দেই। পরবর্তীতে আজিজুল ১৬ লক্ষ টাকা দাবি করলে সাত লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে এক পর্যায়ে আমি দেশ ছেড়ে প্রবাসে চলে আসি। সুদের টাকা আজিজুল আমার কাছে পাবে তাই বলে সে আমার বৃদ্ধ বাবাকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করে লাঞ্ছিত করবে এটা কাম্য নয়। আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে আজিজুল হককে বাড়িতে না পেয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি সুদের টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট দেখা করার কথা বলে লাইনটি কেটে দেন। পরক্ষণই তিনি ফোন দিয়ে জানান, জমি কেনা বাবদ সাদেকের কাছে টাকা পাই। কাজিম উদ্দিনকে মারধরের বিষয়ে বলেন, মারধর করিনি, হাত ধরে টান দিয়েছি।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈশ্বরগঞ্জে ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা, জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ চরমে
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা বাজারের ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অবৈধ স্থাপনার ফলে জলাবদ্ধতায় বাজারে আসা জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাজারের জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য বাজার ইজারাদার সাইফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৪ সালের ৫আগষ্টের পূর্বে আওয়ামী স্বৈরাচার এজেন্টরা সরকারি শেড ঘর মাছ মহাল হতে মরিচ মহাল পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা ও ড্রেন ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া আদায় করে আসছে। মাছ বাজার শেড ঘর সংলগ্ন সরকারি টিউবওয়েল সরিয়ে এর উপর অবৈধ দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছে। ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি টিউবওয়েলের উপর দোকান নির্মাণ করে ব্যাবসা করার বিষয়ে ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে টিউবওয়েল ছিল কিনা জানা নাই। পূর্বের ভিটার আনোয়ারের ভাই আব্দুল মালেকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আমি এখানে ৪/৫ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি। এখনো আব্দুল মালেককে ভাড়া দিচ্ছি।
এবিষয়ে আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে খোঁজে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে পূর্বের ইজারাদার চাঁন মিয়া জানান, তিনি যখন বাজারের ইজারাদার ছিলেন তখন দোকানগুলো থেকে খাজনা নেয়া হতো। আর শুধু মাত্র চা দোকানদার জালালের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া নেয়া হতো। ২ বছর যাবত কোন দোকান ভাড়া বা খাজনা তিনি নেন না বলে জানান।
এবিষয়ে বাজার ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের উচাখিলা তোয়া বাজার সরকারি ডাকে ২৬ লক্ষ টাকা মূল্যে ইজারাদার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। কিন্তু পূর্বের ইজারাদারের সময় কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তিনি বাজারটি ইজারাদার নেয়ার পর প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করেও বাজারটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে পাচ্ছেন না। এতে তিনি রাজস্ব আদায়ে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তিনি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দিতে আবেদনের কপি নায়েবের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকে প্রতিবেন আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান বলেন, শুধু উচ্ছেদের কাজ করলে সেটা পুনরায় বেদখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই উচ্ছদ আর ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ এক সাথে করার পরিকল্পনা নিয়েছি। দ্রুতই সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা, সংঘাতের শঙ্কায় এলাকাবাসী
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দীর্ঘদিনের একটি জমি নিয়ে কয়েকদফা আদালতের রায়ের পরও নতুন করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। দু’পক্ষের উত্তেজনা থামাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যের একটি দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের ৩ একর ৪৫ শতক জমি ১৯৩৪ সাল থেকে ভোগদখলে আছেন ইয়াকুব আলী খানের সন্তান আব্দুল গফুর খান ও আব্দুল হেকিম খান। জমিটির মালিক হিসেবে আরএস, বিআরএস খতিয়ানে আব্দুল গফুর খান ও আব্দুল হেকিম খানের নাম রয়েছে। বর্তমানে জমিটি ভোগ করছেন গফুর খানের সন্তান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেবুন্নেসা খানম, কামরুন্নেসা খানম ও মমিনুননেসা খানম।
১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জমি নিয়ে কোনো বিরোধ না থাকলেও ১৯৬৬ সালে আব্দুল মজিদ জমির মালিকানা দাবি করে দখলে নেন। এ নিয়ে ময়মনসিংহ যুগ্ম আদালতে মামলা হলে ১৯৬৮ সালে আদালত রায়ে জমি ফেরত দেন আব্দুল গফুর খানকে। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে আবারো মজিদ পক্ষ দখল নেয় এবং সত্ত্বের মামলা করে। ১৯৮৭ সালে সেই মামলাতেও গফুর খানের পক্ষেই রায় হয় এবং ১৯৮৮ সালে ডিগ্রির মাধ্যমে পুলিশ জমি বুঝিয়ে দেয়। পরে ২০০৭ সালে মজিদের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম খান নতুন করে মামলা করলেও ২০০৯ সালে আদালত আবারও গফুর খানের পক্ষেই রায় দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জুলাই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে গফুর খানের পরিবারকেই জমির মালিক ও ভোগদখলকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু ২৪আগস্ট (রবিবার) সকালে নুরুল ইসলাম খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান খান বিপিনের নেতৃত্বে একদল লোক জোরপূর্বক জমিতে ঘর নির্মাণ করে দখল নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক সূত্রে ১৯৩৪ সাল থেকে পরম্পরায় জমিটি আমরা ভোগদখলে আছি। ওরা বার বার জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এমনকি কয়েক দফা আদালতে মামলাও করে রায় তাদের পক্ষে নিতে পারেনি। আমাদের নামে বারবার আদালতের রায় হওয়া সত্ত্বেও নুরুল ইসলাম খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান খান বিপিন গং স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে জোর করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদুল হাসান খান বিপিন জানান, জমিটির সিএস এ আমাদের বাপদাদার নাম রয়েছে। গত রাতে থানায় আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করায় পুলিশ রাতে এসে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জমিতে যেতে নিষেধ করে। সকালে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের এই বিরোধে আদালতের একাধিক রায় গফুর খানের পরিবারের পক্ষে হলেও প্রতিপক্ষ বারবার দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে। এতে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
উচাখিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, গত ১৯ জুলাই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে একটি সালিশী বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে গণ্যমান্য লোকজন উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে গফুর খানের পক্ষেই রায় দেন। একটা পক্ষ সালিশ আদালত কিছুই মানছেন না। পুলিশ ও সেনা সদ্যস্যের টিম ঘটনাস্থল ঘুরে গেছেন। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে আগামী ৪সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের গৌরিপুর সেনা ক্যাম্পে ডেকেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।