
শনিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ
আজ ১৬ আগষ্ট-২০২৫ শনিবার বিকালে টাংগাইলে টাংগাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে ২৪ এর গণ- অভ্যুত্থান একবিংশ শতাব্দীতে দুনিয়ার বুকে গণজাগরণ - গণপ্রতিরোধে এক মহাকাব্যিক উপাখ্যানের মত। এই গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে জনগণের অফুরন্ত শক্তির উদ্বোধন সূচিত করেছে।দুঃখজনক হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি; একে কাজে লাগাতে পারেনি। এ কারণে ইতিমধ্যে পরিবর্তনের অমিত সম্ভাবনার অনেকটা বিনষ্ট হয়েছে।এখন চেষ্টা হবে আগামীতে এই সম্ভাবনার কতটা ধরে রাখা যায়!
তিনি বলেন, গণ - অভ্যুত্থান অর্জন ধরে রাখার পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যাত্রা করা।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া গুটিকয় নারী পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে কোন গৌরব নেই।এসবের মধ্য দিয়ে গণ অভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষা করা যাবেনা।তিনি বলেন,ইতিহাসের বিচার বড়ই নির্মম।জবরদস্তি করে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে গেলে বা নাকচ করতে গেলে তা টেকসই হয়না, বরং তা
অনেকক্ষেত্রে তা বুমেরাং বুমেরাং হয়।
তিনি গণ- অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারসমূহকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুনর্বাসনের আহবান জানান।
“ফিরে দেখা জুলাই - আগস্ট গণ -অভ্যুত্থান - প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি ”
শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইটা দীর্ঘ ১৬ বছরের।এই আন্দোলনে ভাগ বিভক্তির কোন অবকাশ নেই।তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, দেশ স্বাধীন করতে ৯ মাস লেগেছে, আর এক বছরেও সংস্কারের আলোচনা শেষ হলো না।তিনি ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরী করতে সবার প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভায় বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গণ -অভ্যুত্থানে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও গত এক বছরে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রাজনৈতিকভাবে নারীবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা বিরোধী সকল তৎপরতা বন্ধ করার দাবি জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির টাংগাইল জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসান পিপলু, মীর রেজাউল আলম, স্থানীয় নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মতি,আজাদ খান ভাসানী, এড.আলী ঈমাম তপন, শফিউল আলম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল হক সানু, হেদায়েত আলী খান, খোরশেদ আলম, আমিনুল ইসলাম অনল, গণ- অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অভিবাবক শফিকুল ইসলাম, ফিরোজ খান, ছাত্রনেতা মুনসুর হেলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গোলাম রাজিব, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, সুমন খান মাহবুব প্রমুখ।
সভার শুরুতে গণ- অভ্যুত্থানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আবদুল লতিফসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।