
সোমবার ● ১২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ফটিকছড়িতে শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলা হয়েছে : ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ
ফটিকছড়িতে শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলা হয়েছে : ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে সড়কের ধারে শতবর্ষী একটি গাছ কেটে ফেলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
উপজেলার কাজিরহাট বাজারের উত্তর পাশে এ বিশাল গাছটি কাটা হয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ ও উম্মা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতবর্ষী এ গাছটি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভূজপুরের কাজিরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডের কবলে পড়ে গাছটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্থানীয় দোকানীরা গত শুক্রবার-শনিবার গাছটি বিনা অনুমতিতে কাটা শুরু করে। যদিও সওজদের এ বিষয়ে দায় রয়েছে। কারণ গাছটি সরকারের, সওজ কর্তৃপক্ষের।
ফটিকছড়ি পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এস আকাশ বলেন, ‘গাছ আমাদের জীবন বাঁচায়। কিন্তু শতবর্ষী এই গাছ কাটার মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংশের মত এরকম বিধ্বংশী কাজ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। যে বা যারা এই কাজে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবী করছি। তিনি বলেন, এ দায় কোনভাবেই সওজ এড়াতে পারেন না। কী রহস্যজনক কারণে অপরাধীদের আড়াল করছেন সওজ। এখনো কেন মামলা হয়নি তা সবাই জানতে চায়।’
জানাযায়, গাছ কাটার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে গাছটি জব্দ করে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে গাছটি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়।
ভুজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী শিপন বলেন, ‘আমার হেফাজতে থাকা গাছের টুকরোগুলো পরিষদে জমা আছে। পুলিশ চাইলে মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহে নিতে পারেন।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেছি। এটি জব্দ করে সওজ কর্তৃপক্ষতে বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা গাছটি তাদের হেফাজতে নিয়ে নিয়মিত মামলা করবে।’
কিন্তু গাছ কাটার দুইদিন পরও সহজ কর্তৃপক্ষ এখনো কোন মামলা করেননি বলে জানাগেছে। স্থানীয়রা দাবী করেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার অজুহাতে সওজ কৃর্তপক্ষ ধীর গতিতে আগাচ্ছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. ফারহান বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। আমরা গাফিলতি করছি না। এটি নিয়ে ভুজপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
ফটিকছড়িতে তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ
ফটিকছড়ি :: মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ এর ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা সেলের সহযোগিতায় সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে চলমান তীব্র তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষের মধ্যে সুপেয় শরবত (লেবু, ট্যাং, চিনি ও তরমুজ মিশ্রিত) বিতরণ করা হয়। ১২ মে ২০২৫ সোমবার সকাল ৯টা থেকে ফটিকছড়ি বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে শাহানশাহ হযরত জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের ম্যানিজিং ট্রাস্টি মওলা হুজুর সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারীর নির্দেশনায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এসময় পরিদর্শনে এসে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ফটিকছড়িসহ সমগ্র দেশবাসী এখন প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে অবস্থান করছেন। এমন সময় মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ সূর্যগিরি আশ্রম শাখার এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা প্রশংসনীয়। তারা এ কাজ না করলে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে এ কাজটি করার উদ্যোগ ছিল। এ সংগঠন সরকারের অংশীদার হয়ে সরকারী কাজে সহযোগিতা করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক মো: জালাল উদ্দিন, পূজা উদযাপন পরিষদ ফটিকছড়ি থানার সভাপতি মাষ্টার রতন চৌধুরী, সিন্দরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ সেবক শামসুল আলম মাষ্টার ( সাবেক মেম্বার), সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন ড. তরুণ কুমার আচার্য, নির্বাহী সদস্য ডা. লায়ন বরুণ কুমার আচার্য, সভাপতি টিটু চৌধুরী, বিপ্লব চৌধুরী, ধীমান দাশ, রুবেল শীল, ঝুন্টু শীল, রনা শীল, সজীব শীল, মানিক বড়ুয়া, টিসু শীল, অর্চনা রানী আচায্য, মো: রবিউল হোসেন, ডা. সুশীল আচার্য্য, সাংবাদিক মন্জু, শিমুল পাল, মিঠু দাশ গুপ্ত, আদেশ শীল সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ফটিকছড়িতে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
ফটিকছড়ি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাহানারা মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বিদ্যালয়ের হলরুমে এসব শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লবী খাস্তগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন জিয়া।
স্কুলের শিক্ষক বিকাশ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সালাউদ্দিন জিকু, সাংবাদিক ইউসুফ আরফাত, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক বাবু নিপু বড়ুয়া, সেবিকা বড়ুয়া, ফরিদ উজ্জামান, প্রিয়াঙ্কা সুশীল, মোঃ শাহজাহাল , উম্পি বড়ুয়া প্রমূখ।
বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে বিদ্যালয়ের ৭৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক পল্লবী খাস্তগীর বলেন, ‘এ দেশ দুর্ণীতিতে ভরে গেছে’ একথা ভাবতেই অভাক লাগে। সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এদেশের আপামর জনতা যে স্বাধীনতা এনেছিল, সে স্বাধীনতা আমরা বিফলে যেতে দেবনা। সাম্প্রতিকের জুলাই বিপ্লব আমাদের তাই শিক্ষা দিয়েছেন। আমার দেশ আমরাই দুর্ণীতিমুক্ত করবো। এই হোক আজকে সবার অঙ্গিকার।’