বুধবার ● ৯ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের বিরুদ্ধে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করার অভিযোগ
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের বিরুদ্ধে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করার অভিযোগ
রাঙামাটি :: দেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধান অমান্য করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবী জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
বুধবার ৯ এপ্রিল রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে ৪ দিনব্যাপী বিজু উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। এ বিষয়ে পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাষ্ট্রের বিপক্ষে গিয়ে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করেছেন। স্বয়ং রাষ্ট্র বলছে পাহাড়ে কোন আদিবাসী নাই, তাহলে তিনি রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসে কি ভাবে আদিবাসী অনুষ্ঠানে যায় এ নিয়ে প্রশ্ন ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় জনমনে। এধরনের সংবিধান বিরোধী আদিবাসী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ধ্যায় প্রেস বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
বিবৃতিতে পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বলেন, এখানে বিজু, সাংগ্রাই উৎসব নাম দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুনে লিখা হয়েছে আদিবাসী জুম্ম জাতির অস্থিত্ব নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে অধিকতর সামিল হও। এখানে এই শ্লোগান আসবে কেন? উৎসব আর আন্দোলন তো এক জিনিস নয়। বিজু উৎসবের নামে কেন আদিবাসী আন্দোলন? আর এখানে আদিবাসী অসাংবিধানিক একটি শব্দ কেন ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ের অনেক স্থানীয় সচেতন মহল। উৎসবের নামে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো, আর এতে পা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার প্রেস বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসী বলে কোন শব্দ নেই। বাংলাদেশে উপজাতিরা আসে ১৭২৭ থেকে ১৭৪০ সালের মধ্যে, সুতরাং তারা আদিবাসীর সংজ্ঞায় পড়েন না। ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তিতে (খ) নং ধারার ১নং উপধারায় বলা হয়, ‘উপজাতি শব্দটি বলবৎ থাকিবে।’ সেখানে আদিবাসী শব্দটি একবারও উল্লেখ করা হয়নি। বাঙালি-উপজাতি আমরা সবাই বাংলাদেশি।
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই, পার্বত্য চুক্তিতেও আদিবাসী নেই, তারপরেও যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করছে, আদিবাসী নাম দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে, তারা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এসব ব্যক্তিদের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় পিসিসিপি।




রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ভিত্তিতে সরকারকে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে হবে
রাঙামাটিতে বিপ্লবী যুব সংহতির জেলা কাউন্সিলে ৩৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন
আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন 