শুক্রবার ● ২৫ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ময়নদ্দিন শেখ ৫১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি
ময়নদ্দিন শেখ ৫১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি
বাগেরহাট প্রতিনিথি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ময়নদ্দিন শেখ স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি। তিনি ১৫ বছর আগে ২০০৬ সালে বিনা চিকিৎসায় অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন। তার পরিবারবর্গ ময়নদ্দিন শেখের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিচ্ছে।
জানা গেছে, ময়নদ্দিন শেখ ১৯৭১ সালে সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধচলাকালীন সময়ে তার বাড়িতে ‘বঙ্গবন্ধু কোম্পানীর (কালিবাড়ি ক্যাম্প) অধিনস্ত একটি ছোট ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। আর এ ক্যাম্পের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ময়নদ্দিন শেখ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী খান এর সত্যতা স্বীকার করে তাকে প্রত্যায়ন করেছেন।
৯নং সুন্দরবন সাব সেক্টরের ‘বঙ্গবন্ধু কোম্পানী’ ক্যাম্পের ফাইটার প্লাটুন কমান্ডার সেকেন্দার আলী শিকদার জানান, ১৯৭১ সালে ময়নদ্দিন শেখের বাড়িতে এ মিনি ক্যাস্প স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আজো মুক্তিযোদ্ধার স্বীকুতি পায়নি। পায়নি তার অসুস্থ স্ত্রী শহরবান (৬৮) কোন ভাতা। ময়নদ্দিন শেখ ১৯৮৫ সালে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ রোগভাগে, বিনা চিকিৎসা শেষ পাগল অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ময়দ্দিন শেখে তার অসুস্থ স্ত্রী সহ ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন। পিতার মৃত্যুর পর অভাব অনটনের কারনে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে রাক্সামাটিতে চলে যায়। অসুস্থ স্ত্রী এক মেয়ের বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। ২ পুত্র আলী আকবর শেখ ও জাকির শেখ দিনমজুর। এদরে প্রত্যেকের সংসার চলে নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। মেয়ে ফরিদা বেগম জানায়, তারা ছোট সময়ে (১৯৭১ সালে) দেখেছে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার দাবারের ব্যবস্তা করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীতা করার সৌভাগ্য হয়েছে।
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের পিতা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি। পায়নি বর্তমান সরকারের কোন সহযোগীতা। স্বীকৃতি না পেয়ে ১২ বছর আগে বিনা চিকিৎসায় পাগল হয়ে মারাও গেছেন তাদের পিতা।
পিতার এ স্বীকৃতি পেতে মেয়ে ফরিদা বেগম বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ফিরছেন। কিন্তু কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না। চরম অর্থ সংকটের কারনে এগুতে পারছেন না তারা। ফরিদা বেগম ও ভাই বোনেরা পিতার স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন 