বৃহস্পতিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ
ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আসামি পক্ষের নাটকীয় পরিস্থিতির মুখে পড়ে পুলিশ। গত রবিবার রাতে পুলিশের একটি টিম অভিযানে গেলে আসামিপক্ষের লোকজন গ্রেফতার এড়াতে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে এবং পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও লুটপাটের পাল্টা অভিযোগ তোলে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের ৩ একর ৪৫ শতক জমি নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও সুলতান উদ্দিন খানদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। জমিটি নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন খানদের পক্ষে কয়েকদফা আদালতের রায় থাকার পরও তা মানতে চান না সুলতান উদ্দিন গং। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জুলাই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মোয়াজ্জেম হোসেনদের জমির মালিক ও ভোগদখলকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে গত ২৪আগস্ট সকালে নুরুল ইসলাম খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান খান বিপিনের নেতৃত্বে জোরপূর্বক জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে দখল নেয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরী হলে থানা পুলিশ ও সেনা সদ্যস্যের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ৪সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের গৌরিপুর সেনা ক্যাম্পে ডাকেন। সেখানে উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মাহমুদুল হাসান খান বিপিন গংদের ঘরটি সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু ঘর না সরিয়ে পুনরায় আরো ঘর নির্মাণ করে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে চরআলগী গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন খানের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও ফসলি জমি নষ্টের অভিযোগে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে (মামলা নং–১১)।
পরে গত রবিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম মামলার প্রধান আসামি সুলতান উদ্দিন খান (৫৫), সুমন মিয়া (৪২), কামাল মিয়া (৩৬), মাহমুদুল হাসান খান বিপিন (৪৫) ও মাসুদ মিয়া (৪০)-কে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালান। এসময় পুলিশ বাড়িতে ঢুকতেই লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করে এবং লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে আসে। পরে আসামিপক্ষ নিজেরাই বাড়িঘর ভাঙচুর করে পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও লুটপাটের অভিযোগ আনে।
আসামি পক্ষের মাহমুদুল হাসান খান বিপিন অভিযোগ করে বলেন, রাতে তাদের বাড়িতে ১০–১৫ জন পুলিশের পোশাক ও হেলমেট পরে একদল ডাকাত হামলা চালায়। এসময় পরিবারের লোকজন মিলে তাদের মেরে পুলিশের জুতা ও লাঠি রেখে দেয়। তখন তাদেরকে হ্যান্ডকাপও পড়িয়েছিল। এসময় ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি ৯৯৯ এ কল করে জানানো হয়েছে।
মামলার বাদী মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, পুলিশ আসামি সুলতান, মাসু্দ, সুমনকে গ্রেফতার করতেই তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশ বাধ্য হয়েই তাদের ছেড়ে দিয়ে চলে যান। পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আমাদের বাড়িতে হামলা করে। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, পুলিশের আইনগত কাজে বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই। আমার ওপর আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে 