
রবিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » খন্দকার আলী আব্বাস রাজনীতিকে ব্যক্তগত স্বার্থে ব্যবহার করেননি
খন্দকার আলী আব্বাস রাজনীতিকে ব্যক্তগত স্বার্থে ব্যবহার করেননি
আজ রবিবার ১৭ আগষ্ট-২০২৫ ঢাকার নবাবগঞ্জে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাংখ্যা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও মনস্তাত্ত্বিক সংস্কারও প্রয়োজন। রাষ্ট্র - সমাজের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের জন্য দলসমূহের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলনও জরুরী।
তিনি বলেন, ২৪ এর গণজাগরণ - অভ্যুত্থান দেশকে এগিয়ে নেওয়ার এক বিশাল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। কারও হটকারিতা ও লোভ লালসার কারণে এই সম্ভাবনা নষ্ট করা যাবেনা। তিনি বলেন,নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হলে গণ- অভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জনে পর্যবসিত হবে, দেশের বহুমাত্রিক ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাক্তন সভাপতি সংগ্রামী জননেতা কমরেড খন্দকার আলী আব্বাসের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে নবাবগঞ্জে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। স্মরণসভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তিনি খন্দকার আলী আব্বাসের সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, রাজনীতিকে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেননি , রাজনীতিকে তিনি ব্যবসা হিসাবে দেখেননি।তার আপোষহীন সংগ্রামী জীবন নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে থাকবে।
তার আগে জননেতা খন্দকার আলী আব্বাসের কবরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, শা্হাদাত হোসেন খোকন, পার্টির ঢাকা জেলার নেতা শেখ হেলালউদ্দিন প্রমুখ।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর একটি শোকমিছিল নবাবগঞ্জ প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য জননেতা খন্দকার আলী আব্বাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।