
বুধবার ● ১৩ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাঙামাটিতে সিএনজি ভাড়ায় চরম নৈরাজ্য : যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার
রাঙামাটিতে সিএনজি ভাড়ায় চরম নৈরাজ্য : যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার
মো. কামরুল ইসলাম রানা :: রাঙামাটি শহরে সাধারণ যাত্রীদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি আটোরিক্সা। বছরের পর বছর রাঙামাটিতে স্থানীয় জনগণ এবং রাঙামাটি ভ্রমণে আসা পর্যটকরা জিম্মি হয়ে আছে তথাকথিত রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির কাছে।
দেশে জ্বালানী তৈলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর রাঙামাটিতে সিএনজি চালকরা ভাড়া যে যার মত করে ভাড়া নিতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি বিআরটিএ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সকল অংশিজনদের নিয়ে তৈলে চালিত সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারিত করে দেয়া সত্ত্বেও বহু চালক তা অমান্য করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। গ্যাস দ্বারা চালিত অটোরিক্সা সিএনজির ভাড়া তৈলে চালিত আটোরিক্সার ভাড়া কম হওয়ার জেলা প্রশাসনের নিদের্শ থাকা সত্ত্বেও রাঙামাটিতে তৈলে চালিত আটোরিক্সার ভাড়া এবং গ্যাসে চালিত আটোরিক্সার ভাড়া সমানভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, যাত্রীরা ভাড়া নিয়ে প্রতিবাদ করলে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ পর্যন্ত করছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও জেলা বিআরটিএ এর পরিস্কার নিদের্শনা আছে প্রতিটি সিএনজি আটোরিক্সার ভাড়ার তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখার জন্য।
রাঙামাটিতে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রতিটি সিএনজিতে যেন সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত রেট চার্ট টাঙানো বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু সিএনজি চালক সমিতি নেতাদের ও জেলা প্রশাসনের তদারকির অভাবে এই নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে।
১৩ আগষ্ট-২০২৫ বুধবার এক ঘটনায়, হ্যাপি মোড় থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত সরকারি নির্ধারিত ভাড়া অমান্য করে ১৫ টাকা দাবি করে এক চালক। যাত্রী ভাড়া তালিকা দেখতে চাইলে উক্ত চালক অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর চট্টগ্রাম-১১-৩৭৭০। এধরনের ঘটনা রাঙামাটি শহরের প্রতিনিয়ত ঘটছে। দেখার কেউ নাই বলে ভোক্তভোগিদের অভিযোগ।
এমন আচরণ শুধু যাত্রী ভোগান্তি বাড়াচ্ছে না, বরং আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। রাঙামাটি প্রশাসন-বিআরটিএ এবং সিএনজি চালক সমিতি নেতৃবৃন্দদের অবিলম্বে এই অনিয়ম ও ভাড়র্তি ভাড়া আদায়কারি এবং যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাঙামাটি যাত্রী অধিকার পরিষদের দাবি। অন্যথায় যাত্রীদের ক্ষোভ বিস্ফোরণের পর্যায়ে পৌঁছালে বড় ধরনের দুর্ঘটনার রাঙামাটি জেলা প্রশাসন-জেলা বিআরটিএ এবং রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ দায়ী থাকবেন বলে রাঙামাটি যাত্রী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আজিম জানান।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের পর রাঙামাটি শহরের অবৈধ অটোরিক্সা সিএনজির সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন-জেলা বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।