
মঙ্গলবার ● ৬ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাঙামাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় কোন নাগরিক সুবিধা নেই
রাঙামাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় কোন নাগরিক সুবিধা নেই
স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি পৌরসভা ১ম শ্রেণীর স্বীকৃত কিন্ত কোন সুযোগ সুবিধা নেই,১৭% কর ধার্য্য করা হয় ৭%গৃহকর ৭%সংরক্ষন কর ৩% আলোকরন কর ;গৃহকর ছাড়া বাকী করের বৈধতা কি! যেহেতু ১ম শ্রেণীর কোন সুযোগ সুবিধা নেই,এই পৌরসভাকে ৩য় শ্রেণীর পৌরসভায় অবনমন করা হোক। ইতিমধ্যেই সরকার এই বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করেছে। টাউন হল,টাউন হল, পৌরপার্ক,ফ্রি চিকিৎসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা এবং গনশৌচাগার কিছুই নেই।
পাহাড়ে আয়ের পথ সীমিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা,করোনা ও পাহাড় ধসসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বৈষম্য মুলক পৌরকর পরিহার করা হোক।এক সময় শাস্তিমুলক বদলী হয় পাহাড়ে,ফলে সরকারী কর্মকর্তাদের ৩০% পাহাড়ীভাতা দেয়া হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ১৭ বছর ধরে শতকোটি টাকা বরাদ্দ এনে নয়-ছয় করেছে দলীয় জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় গ্রাহকের স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়,সঠিক এসেসমেন্টের মাধ্যমে স্থানীয় ও জনবান্ধব পৌরকর ধার্য্য করে পৌরকর পরিশোধ করার সুযোগ দিতে হবে। পৌরসভার কর আদায়কারী নির্মুল বাবু বলেন , ৫শতাংশ পর্যন্ত পৌরকর কম নেওয়ার আইনে উল্লেখ রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে একেক জনের ৪০/৫০ শতাংশ কমে কর নেওয়ার পৌরপ্রশাসকের কাছে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করা হয় প্রতিবেদক।
পৌরপ্রশাসক মো.মোবারক হোসেন বলেন,স্থানীয় সরকারের আইনের বাইরে যেতে পারি না। জনপ্রতিনিধিরা কর কমাইতে পারে। আইন মানুষের জন্য বিশেষ বিবেচনায় পরিবর্তন করার জোর দাবী উঠেছে।
বনরুপা মসজিদের সভাপতি হাজী নুরুল আলম বলেন,মনগড়া এত পৌরকর দেয়া সম্ভব নয় । পৌরকর মেলা উপলক্ষে কর দিতে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি ।
বনরুপা জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরী বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের ন্যায় পৌরকর পরিশোধ করা সম্ভব নয় । বনরুপা মসজিদের পৌরকর রেভিউ করে ১১ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫ লক্ষ পরিশোধ করেছি ।
সুজনের সাধারণ সম্পাদক জিসান বখতেয়ার জানায়, পৌরকর নিয়ে স্থানীয় পৌরবাসী যে কোন মুহুর্তে মানব বন্ধনসহ নানা ধরনের কর্মসুচী পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। সুজনের ১৯ দফার মধ্যে এক দফা পৌর নাগরিকের ।