বুধবার ● ৭ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ, কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে ?
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ, কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে ?
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: সিন্দুকছড়িতে নিরীহ গ্রামবাসীর ঘর ভেঙে দেওয়া সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আজ ৭ জুলাই বুধবার বেলা ১১ ঘটিকার সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার ঠান্ডা ছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ গ্রামবাসির ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দোষী সেনা সদস্যদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে।
এতে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সভাপতি অনিমেষ চাকমা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সেনাবাহিনী পাহাড়ে পাহাড়িদের উপর যেভাবে দমন -পীড়ন চালাচ্ছে তা মানবাধিকার এবং তাদের নীতির বহির্গত। তারা তাদের ক্ষমতা দাপট দেখাতেই পাহাড়িদের উপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছে। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বিদ্বেষী ও তাদের সুবিধা এবং প্রমোশন লাভের জন্যে তারা নানা ইসু তৈরী করে পায়তারা চালাচ্ছে আর এতে সাধারণ গ্রামবাসীও তাদের অত্যাচার নিপীড়ন থেকেই রেহাই পাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, এ থেকে জনগণ থেকে শুরু করে ছাত্র -যুবক সকলকে সচেতন ও সজাগ হয়ে তাদের অপরাধ জনসমক্ষে তুলে এনে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে তাদের কুকার্যের ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সভাপতি নন্দলাল ত্রিপুরা বলেন, সেনাবাহিনী কী রকম জুলুম চালাচ্ছে তা পাহাড়ের মানুষের সবারই জানা। দেশে মুক্ত মিডিয়া না থাকার ফলে পাহাড়ে নিত্য যে অত্যাচার , দমন চলছে তা মিডিয়ায় আসছে না কারণ এখানে সেনাবাহিনী মিডিয়াকে কব্জায় রেখেছে তাদের অনুমতি না নিয়ে মিডিয়াও কোন কিছু প্রচার করতে পারছেনা। তিনি এতে মিডিয়ায় নিয়োজিত বাহিনীদেরও কড়া সমালোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ। তবে কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে। আমরাতো সমতলে গেলে পাহাড় এবং সমতলের শাসনব্যবস্থা র বিরাট তফাৎ লক্ষ্য করি। সেখানে সেনাবাহিনীর জনগণের উপর কোন খবরদারি নেই, অত্যাচার তো দূরের কথা।
এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গুইমারা উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত ত্রিপুরা তিনি বলেন , পাহাড় জুড়ে সেনারা দুঃশাসন চালাচ্ছে কারণ তারা বারেবারে আঁশ পেয়ে যান। তারা অন্যয়, অপরাধ করলেও তাদের বিচার করা হয়না। কল্পনা চাকমা, রমেল চাকমা কিংবা সোহাগী জাহান তনুদের বিচার আমরা পাইনি ! এবং দোষীদের বিচারের শাস্তি হবে কী তাও দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন জাগে তাহলেই কী সেনারা অপরাধ করেন না? তারা কী অপরাধী নয়?একই দেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে ও অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তাদেরকেও বাংলাদেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন , সিন্দুকছড়িতে যে নিরীহ গ্রামবাসীর ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে সেনাবাহিনী তা অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দোষী সেনা সদস্যদের বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হরিশ ত্রিপুরা।




আগামী কাল বিপ্লবী যুব সংহতির রাঙামাটি জেলা কাউন্সিল
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ
বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন
টেকসই হবেনা - এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন
তীর্থ ভ্রমনে বিজয়ানন্দ থেরো
ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন
ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শ্লোগান নিয়ে শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
ফেব্রুয়ারীর সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে মুক্তি দিতে পারে 