
সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জনশুমারি ও গৃহগণনায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম সংযুক্ত করার আবেদন
জনশুমারি ও গৃহগণনায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম সংযুক্ত করার আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ২৮ এপ্রিল- ২০২৫ ইংরেজি তারিখ সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও উপ পরিচালক, জেলা পরিসংখ্যান অফিস, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার মাধ্যমে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বরাবর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ শুমারি সম্পর্কিত অধিকতর তথ্য-উপাত্ত আলাদাভাবে ছকে বা থানায় বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর পরিচিতি সংযুক্ত করার আবেদন করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর শুমারির তথ্য এ অধ্যায় ৩ রাঙামাটি জেলার শুমারির ফলাফল ৩.১.৪ এর ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা ছকে বা খানায় বাঙ্গালী বৌদ্ধ বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পরিচিতি আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অবদান উল্লেখ্যযোগ্য। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে ৫৩ বছর কিন্তু সারা বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ ধর্মের মূল ধারক-বাহক বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর সদস্যদের কোন ধরনের তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আলাদাভাবে অদ্যবধি উপস্থাপন করেন নাই। অথচ বাংলাদেশে লক্ষাধিক বড়ুয়া যুগ-যুগ ধরে বসবাস করছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বৈষম্যের শিকার। অথচ প্রতি ১০ বছর পর-পর রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মাধ্যমে জনশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়। রিপোর্ট বাংলায় ও ইংরেজি উভয় ভাষায় প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ আওতায় বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর পুরুষ ও নারী সদস্যদের আলাদাভাবে বা ছকে কোন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়নি। একারণে গবেষণা বা রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার কাজে বড়ুয়াদের নাম উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করা হয় না। আমরা “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যের অবসান চাই ।
একটি স্বাধীন দেশে ৫৩ বছর ধরে প্রান্তিক বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর লোকজন সর্বক্ষেত্রে অবহেলীত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সুবিধা বঞ্চিত রযেছে। অথচ দেশের ৬৪টি জেলায় কম-বেশী বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ শুমারি সম্পর্কিত অধিকতর তথ্য-উপাত্তে দেশের বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর পরিচিতি আলাদাভাবে সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
বাঙ্গালী বৌদ্ধ “বড়ুয়া” জনগোষ্ঠীর পরিচিতি সংযুক্ত করার আবেদন পত্রটি গ্রহন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্।
এসময় রাঙামাটি জেলায় বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নির্মল বড়ুয়া মিলন, তপন কান্তি বড়ুয়া, সুপ্রিয় বড়ুয়া, সমিরন বড়ুয়া, শ্যামল চৌধুরী ও ধীমান বড়য়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।