শিরোনাম:
●   পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে পার্বত্য এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির নতুন ছক তৈরি হচ্ছে ●   বিদ্যমান নৈরাজ্য ও মব সন্ত্রাস চলতে দিলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ কঠিন হবে : সাইফুল হক ●   নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ এর ১০বছর পূর্তি উদযাপন ●   পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির রাঙামাটিতে সভা লোকদেখানো, ভাওতাবাজি ●   গণঅভ্যুত্থান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেনি, শ্রমিকের কষ্ট লাঘব করেনি ●   বড়ুয়া সংগঠনের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কাউখালী উপজেলা কমিটি গঠন ●   গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র : কারফিউ জারি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের হামলায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   নির্বাচনের আগে বিচারের উদ্যোগকে দেশবাসী দৃশ্যমান দেখতে চায় ●   যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আ’লীগের আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমটির নিন্দা ●   গত এক বছরে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য ও দারিদ্র্য আরও প্রকট হয়েছে ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগের আক্রমণের নিন্দা ●   বড়ুয়া সংগঠনের নর্বগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি ●   ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তিটি বৈষম্যেভরা : বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ ●   নির্বাহী বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে ●   সংস্কার ও নির্বাচন ঝুলিয়ে দিতে নানা অপতৎপরতা চলছে ●   ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নাগরিকদের মধ্যে অধিকারের কোন বৈষম্য করা যাবেনা
ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
শুক্রবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় : জুঁই চাকমা
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় : জুঁই চাকমা
২৯৩ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় : জুঁই চাকমা

--- স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী বিষয় সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির বক্তব্য তুলে ধরতে আজ ১৮ এপ্রিল ২০২৫ শুক্রবার সকাল ১১টায় পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন আহবান করা হয়।
অস্থায়ী কার্যালয় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকা,রাঙামাটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির বক্তব্য তুলে ধরেন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা তিনি বলেন, আপনারা জানেন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে দেশকে বিশৃঙ্খলার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এপ্রিল-২০২৫ এর ৮ তারিখ ছাত্র-শ্রমিক-জনতার নতুন বাংলাদেশের ০৯ মাস পূর্ণ হয়েছে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের গণ আকাঙ্খা বারে বারে প্রতারিত ও পদদলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিপরীতে দেশকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পাকিস্থানি জমানার মত একদেশে দুই নীতি দুই সমাজ কায়েম হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের অসম্পূর্ণ জাতীয় কর্তব্য সম্পন্ন করতেই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। এই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান অঙ্গীকার হচ্ছে বাংলাদেশ আর পুরানো ফ্যাসিবাদী জমানায় ফিরে যাবেনা। গণঅভ্যুত্থানের শক্তিসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে ন্যূনতম জাতীয় সমঝোতা বিনষ্ট করা যাবেনা। কারো কারো হঠকারিতা ও বাড়াবাড়ির কারণে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা।’
স্বাধীনতা সংগ্রামের অসম্পূর্ণ জাতীয় কর্তব্য সম্পন্ন করতেই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। কারও হঠকারিতার গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা।
বর্তমান আন্তর্বর্তীকালিন সরকার স্বৈরাচারী দোসররা ব্যতিত দেশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী দেশের ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান মুক্তিগামী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ফসল।
কিন্তু ০৯ মাসের মাথায় এসে আন্তর্বর্তীকালিন সরকারের উপদেষ্টা ও আমলারা ভুলে যেতে বসেছেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের একটি নিবন্ধীত জাতীয় রাজনৈতিক পার্টি ।
এ পার্টি গঠনের পর থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় শ্রমজীবি মুক্তিকামী জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনীতি ভূমিকা অব্যহত রেখে যাচ্ছে।
একটি রাজনৈতিক পার্টি হিসাবে জনগণের কাছে আমাদের পার্টির দায়বদ্ধতা রয়েছে।
২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পর আমরা আশা করেছিলাম সারা দেশের ন্যয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন ঘটবে। বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
জু্ইঁ চাকমা বলেন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দায়িত্বে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলার বিভিন্ন জেলা প্রধান ও রাঙামাটি জেলার সকল উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈষম্যমূলক কর্মকান্ড আমরা দেখেছি ।
আমরা বলেছি, জনগণের কাছে আমাদের কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জনস্বার্থে কয়েকটি বিষয় বর্তমান আন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুছ সাহেব এবং তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের দৃষ্টি আর্কষণ করতে আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে আজকের প্রেস ব্রিফিং।
১৩ এপ্রিল-২০২৫ ইংরেজি তারিখ রাজধানীতে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুছ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় যে বক্তব্য রেখেছেন তার জন্য মান্যবর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুছ সাহেবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এবং একই অনুষ্ঠান শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমরা চাই পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। সেখানে শান্তি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সবই করবে সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান আরো বলেছেন, আজকের এই অনুষ্ঠান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ অনুষ্ঠান। এখানে সম্প্রীতির সমাবেশ ঘটেছে। আমরা বুদ্ধের নীতি অনুসারে দেশকে গড়ে তুলতে চাই। সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যৌবনের বড় সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে কাটিয়েছি। বিভিন্ন মত থাকলেও একে অপরকে শ্রদ্ধার মনোভাব থাকতে হবে। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।
বর্তমান সময়ে যুগপযোগি বক্তব্য রাখায় সম্মানীত জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাহেবকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
সংবাদিক সম্মেলনে বিপ্লবী নারী জুঁই চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব সু-প্রদীপ চাকমা তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে ০৯ মাসের ভিতর এক বারের জন্য বৈঠকে বসেননি, তিনি ২টি জাতীয় রাজনীতি পার্টি ও ১টি আঞ্চলিক পার্টির নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।
গত ০৩ এপ্রিল-২০২৫ ইংরেজি তারিখ রাঙামাটি সার্কেট হাউজে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব সু-প্রদীপ চাকমা মহোদয়ের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বৈসবিসহ অন্যান্য উৎসবে আইন-শৃঙ্খলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেছেন । উক্ত মতবিনিময় সভায় জনাব সু-প্রদীপ চাকমা গুটিকয়েক আমলা এবং তাঁর পছন্দর ২টি জাতীয় রাজনীতি পার্টি ও ১টি আঞ্চলিক পার্টির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানায়। তাহলে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের মূল ষ্টেকহোল্ডার রাঙামাটি জেলার অন্যান্য জাতীয় রাজনৈতিক দল/পার্টির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলার বাইরের কেউ ?
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বৈসবিসহ অন্যান্য উৎসবে আইন-শৃঙ্খলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার প্রধান জনাব সু-প্রদীপ চাকমা ও আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। এটা সাংবিধানিক অধিকার।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সু-প্রদীপ চাকমা তিন পার্বত্য জেলায় খাদ্যশস্য ও প্রকল্প বরাদ্দে পাহাড়ি অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রকৃত চিত্র ও প্রয়োজন উপেক্ষা করে একপাক্ষিক ভাবে আওয়ামীলীগের লোকজনদের ১০০% ভূয়া প্রকল্পের নামে বরাদ্দ প্রদান করেছে, যা চরম বৈষম্যমূলক। এটা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরিপন্থিতিমূলক কাজ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সু-প্রদীপ চাকমার মত একজনকে উপদেষ্টা পদে রেখে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে আশা করা যায়না।
রাঙামাটি জেলার জনসাধারন মনে করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সু-প্রদীপ চাকমা নিরপেক্ষ নয়।
তিনি হয়তো ভুলে গেছেন তার পূর্বের ক্ষমতাধর প্রভু খুনি,রক্তচোষা, ফ্যাসিষ্ট, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন কি ভাবে হয়েছে।
আমরা জনগণের পক্ষে ছিলাম এবং আছি। রাঙামাটি জেলার জনগণের স্বার্থে জনাব সু-প্রদীপ চাকমাকে একটি কথা বলে রাখছি, প্রতিনিয়ত আপনার চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে আসছে, টন-মন যাঁদের বরাদ্ধ দিচ্ছেন তারাও আপনাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবেনা। ২০২৫ সালের জনতা অনেক ভয়ংকর।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ থাকতে না পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সু-প্রদীপ চাকমার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে মেজর জেনারেল (অবঃ) অনুপ কুমার চাকমা নিয়োগ দিযেছেন,তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নেহায়েত একজন ভদ্রলোক। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অনুকুলে সরকারি যে অর্থ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে সে অর্থের বেশীর ভাগ আওয়ামীলীগের ঠিকাদার বা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের নামে ছাড় দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এবিষয়টি আরো সর্তক হওয়ার পরামর্শ রইল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) অনুপ কুমার চাকমার সাথে আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে সৌজন্য স্বাক্ষাতকালিন তিনি নিজেই বলেছেন সকল রাজনৈতিক পার্টি বা দল তাঁর কাছে সম-মর্যাদা পাবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এর বক্তব্য এর প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মানীত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) অনুপ কুমার চাকমার বক্তব্যের প্রতিফলন আমরা বাস্তবে দেখতে চাই।
এসময় তিনি বলেন, গত ০৭ নভেম্বর-২০২৫ ইংরেজি তারিখ পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন।
নতুন চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর রাঙামাটি কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজল তালুকদার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়ত্ব গ্রহনের পর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁরা কাজ করবেন।
বিগত সময়ে শিক্ষকসহ বিভিন্ন নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলেও এবার আর এসব হতে দেবেন না। দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি একদমই হবে না। এগুলা আগের এসএসসি, এইচএসসি পাস-ফেল করা চেয়ারম্যানরা করেছেন; এখন আর সে সুযোগ নেই।”রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিগত ৬ মাসে তিনি তাঁর কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের পর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া নাগরিকদের তথ্য প্রদান না করার অভিযোগ রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব তিনি মনে করেন একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের সুপারিশে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। আমরা মনে করি তাঁর এধারনা সঠিক নয়।
চেয়ারম্যান সাহেব রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগ পেয়ে জেলা পরিষদের মূল গেইটে ২টি লেখা ঠাঙ্গিয়েছেন, ১টি বৈষম্যহীন আর ১টি দুর্নীতি মুক্ত। উনার কথা আর কাজের সাথে আমরা মিল দেখি নাই। সম্মানীত চেয়ারম্যান সাহেব রাঙামাটি জেলার জাতীয় রাজনীতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং জেলার সিনিয়র নাগরিকদের সাথে বৈষম্যমূলক ও অসৌজন্য আচরনের ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
একটি কথা আমরা আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে জানাচ্ছি, সম্মানীত চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার সাহেব আপনার নিয়োগ হয়েছে জুলাইয়ের গণঅভ্যুাত্থানের স্বৈরাচার বিরোধী রাজনীতিক দল/পার্টির সমুহের সুপারিশে। আপনি যদি মনে করেন যে, কোন ১টি রাজনৈতিক দলের সুপারিশে আপনি নিয়োগ পেয়েছেন তাহলে আপনি আন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
আমরা আশা রাখি, এবার থেকে আপনি দল-মত-নির্বিশেষে জুলাইয়ের গণঅভ্যুাত্থানের স্বৈরাচার বিরোধী মূল ষ্টেকহোলন্ডার রাজনীতিক দল/পার্টি সমুহে সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে জেলার স্থানীয় রাজনীতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে বৈষম্যহীন ভাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা বলেন, আপনারা জানেন, ভোট চোর পতিত স্বৈরাচারের দোসর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বদলী হওয়ার পর রাঙামাটি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব যোগদান করেন।
রাঙামাটি জেলার নতুন জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব অত্যন্ত ভদ্রলোক এবং বিনয়ী একজন মানুষ।
কিন্তু তিনি এবং তাঁর প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব রুহুল আমীন সাহেব দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে আমরা লক্ষ করছি রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বৈষম্যহীন ও রাজনীতি দলীয় মুক্ত নয়।
ভোট চোর পতিত স্বৈরাচারের দোসর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান থাকাকালিন জেলা প্রশাসনের আইন শৃংখলা কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুাত্থানের স্বৈরাচার বিরোধী মূল ষ্টেকহোলন্ডার জাতীয় রাজনীতিক দল/পার্টি সমুহে প্রতিনিধিরা আন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোহাম্মদ রুহুল আমীন সাহেব দায়িত্বভার গ্রহনের পর ২টি রাজনীতিক দলের প্রতিনিধি ব্যতিত জেলার অন্যান্য জাতীয় রাজনৈতিক পার্টি/দলের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।
বিষয়টি আমাদের পার্টি এবং বন্ধু রাজনীতিক সংগঠনের জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব- কে মৌখিকভাবে একাধিকবার বলা হয়েছে কিন্তু তিনি এর কোন প্রতিকার করেননি, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এঘটনায় জেলার কয়েকটি রাজনীতিক পার্টি/দল ব্যতিত অন্য সকল রাজনীতিক দল হতাশ।
জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব কথায় কথায় উপরের নির্দেশ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ সাহেব রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হিসাবে আদৌ নিরপেক্ষতা প্রমান দিতে পারেনি।
দেশে এখনো অন্তর্বতীকালিন সরকার, রাষ্ট্রীয় সকল প্রশাসন নিরপেক্ষ হওয়ার কথা।
নির্বাচন ব্যতিত জেলা প্রশাসক সাহেব ১টি রাজনীতিক পার্টিকে অঘোষিতভাবে ক্ষমতার আসনে বসিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।
জেলা প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা রাজনৈতিক দল ও জনগনকে আস্থায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
আমরা কোন নতুন ফ্যাসিস্ট হতে দেবো না। এক ফ্যাসিস্ট সরকারকে পালাতে বাধ্য করে নতুন করে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার দেখতে চাই না। যদিও নতুন ফ্যাসিস্টদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে দেশ ও সাধারণ মানুষ। ড. ইউনূস সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে থানার ওসি থেকে ফুটপাতের লাইনম্যান পর্যন্ত তাদের দুর্নীতি-চাঁদাবাজী-ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেউ কেউ দেশবিরোধী কার্যক্রম করছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান তার বদলীর আগে যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে খাদ্য শষ্য ও অর্থ বরাদ্ধ করেছে গেছেন জনস্বার্থে দুদক এর মাধ্যমে তার তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি উপস্থাপন করছি।
আওয়ামী লীগের দমন-নিপীড়ন ও ভোট ডাকাতি, শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিজমের’ মূল কারিগর হিসাবে বর্তমানে রাঙামাটি জেলার জনগণ প্রশাসনের বিতর্কিত ২জন কর্মকর্তার নাম বার বার সামনে আনছেন, রাঙামাটি জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোহাম্মদ রুহুল আমীন সাহেব নাম।
আওয়ামী লীগের শাসন আমলে তাঁরা চাকুরী রক্ষার্থে পরিস্থিতির কারণে তাদের অবস্থান হয়তো ‘ফ্যাসিজমের’পক্ষে ছিলো।
রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসাবে উপরের উল্লেখিত ২ জন সরকারি কর্মকর্তাকে অন্য জেলায় সম্মানজনক বদলীর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিহু, চাংক্রান, পাতা, চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ-২০২৫ উদযাপন কালিন আইন শৃংখলা বিগত বছরের তুলায় অনেকটাই ভাল ছিলো।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইন শৃংখলার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের।
আকস্মকিভাবে সয়াবনি তেলেরে অস্বাভাবকি দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সাধারণ মানুষরে উপর নতুন অত্যাচারের সামিল। অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. আবুল হাশেম, বীরমুক্তি যোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য আমর চাকমা, অরুনজিতা চাকমা, মেকি চাকমা, নার্গিস আক্তার, কল্পনা চাকমা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।





ছবি গ্যালারী এর আরও খবর

বিদ্যমান নৈরাজ্য ও মব সন্ত্রাস চলতে দিলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ কঠিন হবে : সাইফুল হক বিদ্যমান নৈরাজ্য ও মব সন্ত্রাস চলতে দিলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ কঠিন হবে : সাইফুল হক
নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ এর ১০বছর পূর্তি উদযাপন নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ এর ১০বছর পূর্তি উদযাপন
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির রাঙামাটিতে সভা লোকদেখানো, ভাওতাবাজি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির রাঙামাটিতে সভা লোকদেখানো, ভাওতাবাজি
গণঅভ্যুত্থান  শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেনি, শ্রমিকের কষ্ট লাঘব করেনি গণঅভ্যুত্থান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেনি, শ্রমিকের কষ্ট লাঘব করেনি
বড়ুয়া সংগঠনের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কাউখালী উপজেলা কমিটি গঠন বড়ুয়া সংগঠনের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কাউখালী উপজেলা কমিটি গঠন
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র : কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র : কারফিউ জারি
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন
গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের হামলায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের হামলায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা
নির্বাচনের আগে বিচারের উদ্যোগকে দেশবাসী দৃশ্যমান দেখতে চায় নির্বাচনের আগে বিচারের উদ্যোগকে দেশবাসী দৃশ্যমান দেখতে চায়
যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়

আর্কাইভ